এই স্কিমটি একটি দীর্ঘমেয়াদী পদ্ধতির সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ভিত্তিতে স্টেশনগুলির বিকাশকে পরিকল্পনা করে। এর মধ্যে প্রতিটি স্টেশনের প্রয়োজনীয়তার প্রতি লক্ষ রেখে স্টেশন অ্যাক্সেসের, সার্কুলেটিং এরিয়া, ওয়েটিং হল, টয়লেট, প্রয়োজন অনুসারে লিফট/এসকেলেটর, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, বিনামূল্যের ওয়াই-ফাই, স্থানীয় পণ্যগুলির জন্য কিয়স্ক যেমন ‘ওয়ান স্টেশন ওয়ান প্রডাক্ট’, আরও উন্নত যাত্রী তথ্য ব্যবস্থা, এক্সিকিউটিভ লাউঞ্জ, ব্যবসায়িক সভা-সমিতির জন্য মনোনীত স্থান, ল্যান্ডস্ক্যাপিং ইত্যাদি সুবিধার উন্নতির জন্য মাস্টার প্ল্যানের প্রস্তুতি এবং পর্যায়ক্রমে সেগুলির বাস্তবায়ন রয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: আমবাগানের ভেতর থেকে উদ্ধার হল যুবকের রক্তাক্ত দেহ! ঘটনায় শিউরে উঠেছে মালদহ
এই স্কিমটির মধ্যে ভবনের উন্নতি, স্টেশনকে শহরের উভয় পাশে একীভূত করা, মাল্টিমোডাল ইন্টিগ্রেশন, দিব্যাঙ্গজনদের জন্য সুযোগ-সুবিধা, স্থায়ী এবং পরিবেশ বান্ধব সমাধান, ব্যালাস্টলেস ট্র্যাকের ব্যবস্থা, প্রয়োজন অনুসারে ‘রুফ প্লাজা’, পর্যায়ক্রমে এবং সম্ভাব্যতা এবং দীর্ঘমেয়াদে স্টেশনে সিটি সেন্টার তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিকোপার্কে রাইড চড়াকে কেন্দ্র করে বচসা, সিনিয়র অফিসারকে মারধর করে গ্রেফতার পাঁচ!
এর আগে মডেল স্টেশন স্কিমটি ১৯৯৯ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত প্রচলিত ছিল। সেই স্কিমের অধীনে ভারতীয় রেলওয়েতে ৫৯৪টি স্টেশন আপগ্রেডেশনের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত ভারতীয় রেল ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে একাধিক রেল স্টেশন যা যাত্রীদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং যা বাণিজ্যিক ভাবেও অত্যন্ত লাভজনক সেই সব স্টেশনের মানোন্নয়ন ঘটাবে। ইতিমধ্যেই একাধিক স্টেশনে সেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। রেলের বক্তব্য, যাত্রী পরিষেবা যত আধুনিক করা হবে, তত সংখ্যক মানুষ এই সব স্টেশন ব্যবহার করবে। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে দ্রুত এই সব স্টেশন আধুনিকীকরণের কাজ সেরে ফেলা হবে। যা দেখতে হবে অনেকটাই বিমানবন্দরের মতো।