জানা যায়, ৪০ জন তীর্থযাত্রী ছিলেন সেই বাসে। তাঁদের নিয়ে পঞ্জাব অভিমুখে ফিরছিল সেই বাস। পথে বানিহালের কাছে নাচলানা এলাকায় থামার কথা ছিল। ব্রেক ফেল করার কারণে বাস থামতে না পারায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। পুলিশ এবং নিরাপত্তাবাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। তাতেই বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় বাসটি।
advertisement
পুলিশ সূত্রে খবর, আহত ১০ যাত্রীর মধ্যে ৩ জন মহিলা এবং একটি শিশুও রয়েছে। যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে চলন্ত বাস থেকে লাফিয়ে নামার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ তৎপর হয়। আধিকারিকরা দ্রুত উদ্ধার কাজ শুরু করেন। সেই সঙ্গে চলন্ত বাসের চাকার পিছনে পাথর দিয়ে আটকে দেওয়া হয়। নিয়ন্ত্রণহারা বাস এর পরই দাঁড়িয়ে পড়ে। বাকি যাত্রীরাও নিরাপদে নেমে আসেন। পুলিশ অফিসারের কথায়, “নিরাপত্তাবাহিনীর তৎপরতায় অ্যাম্বুল্যান্স চলে আসে সঙ্গে সঙ্গে। চিকিৎসা শুরু করা হয় আহতদের।”
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের হাথরস কাণ্ডের জেরে শঙ্কিত হয়ে আছে দেশ। হাথরসের সিকান্দ্রারাউ এলাকার ফুলরাই গ্রামে স্বঘোষিত ধর্মগুরু ভোলে বাবা ওরফে সুরজ পালের আয়োজিত সৎসঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষ। অথচ সেখানে জায়গা ছিল ৮০ হাজারের। অল্প জায়গায় হুড়োহুড়ি করে বাবার পায়ের ধুলো নিতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে যায়। পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ যায় শিশু ও মহিলা সহ ১২১ জনের। সেই ঘটনার পর অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে অনুষ্ঠানের আয়োজকদের বিরুদ্ধে। নিরাপত্তা ব্যবস্থার ফাঁককেই এই অব্যবস্থার জন্য দায়ী করা হয়েছে। অন্য দিকে, অমরনাথ যাত্রা করে ফেরার পথে নিরাপত্তাবাহিনীর সৌজন্যেই বড় দুর্ঘটনা এড়ানো গেল।