অভিযোগ খাতন বেওয়াকে বেধড়ক মারধর করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে ডোমকল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে এবং পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হলে নিয়ে যাওয়ার পথে রাস্তায় মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিশ দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ভিক্ষাবৃত্তি করেই কোনও রকমে সংসার চালাতেন ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধা খাতন বেওয়া। কিন্তু কংগ্রেসের একনিষ্ট একজন কর্মী ছিলেন তিনি। শুক্রবার রাতে খাতন বেওয়ার সঙ্গে কয়েকজন তৃণমূল কর্মীর বচসা বাধে। তবে সেই সময় বচসা মিটমাট করে খাতন বেওয়া বাড়ি চলে আসে। অভিযোগ গভীর রাতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা খাতন বেওয়ার বাড়ি ঢুকে তাঁকে বেধড়ক মারধর করে এবং শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টা করে। বৃদ্ধার চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসতেই পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।
advertisement
আরও পড়ুন: সঙ্কটজনক তবে স্থিতিশীল বুদ্ধদেব, অবস্থার উন্নতি হয়নি, রয়েছেন ভেন্টিলেশনেই
গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ডোমকল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হলে শনিবার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে রাস্তায় মৃত্যু হয় তাঁর। বৃদ্ধার পরিবারের অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটে কংগ্রেসের হয়ে কাজ করার কারণেই খুন করা হয়েছে ওই বৃদ্ধাকে। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে পরিবার।
মৃতার ভাই বিল্লাল মোল্লা বলেন, আমার দিদি ভিক্ষাবৃত্তি করে কোনও রকমে সংসার চালাতেন। কিন্তু কংগ্রেস দলটা খুব ভালোবেসে করতেন। অধীর চৌধুরীকে কেউ কিছু বললে উনি রুখে দাঁড়াতেন। সেই কারণেই ওকে খুন করা হয়েছে। আমি আমার দিদির খুনিদের কঠোর শাস্তি চাই।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতা আনারুল ইসলাম। তিনি বলেন, এই ঘটনায় তৃণমূল কোনও ভাবেই জড়িত নেই। ওই বৃদ্ধা বার্ধক্যজনিত কারণে মারা গিয়েছেন। আর মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করা উচিত না। কারণ তৃণমূল খুনের রাজনীতি করে না ।এ বিষয়ে ডোমকলে সাংবাদিক বৈঠকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লালবাগ ওয়াসিম খান বলেন, ‘ওই বৃদ্ধার শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না৷ ফুসফুসে সমস্যা থাকায় শ্বাসকষ্ট জনিত কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।’ তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই বৃদ্ধার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ স্পষ্ট হবে৷