বহরমপুরে মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠকে মহম্মদ সেলিম জানান, খুন যখন অনুব্রত মণ্ডল করেছে, রাহাজানি করেছে, তাহলে তখন কেন পুলিশ আগে সক্রিয় ছিল না। আর এখন যেই মুহূর্তে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হবে, আর তখনই কোর্ট পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল। ভাইপো অভিষেক থেকে আরম্ভ করে শুভেন্দু অধিকারী সবাই স্বস্তি চাইছেন, সেই রকম অনুব্রত স্বস্তি চাইছিলেন। কিন্তু তখন অনুব্রত মণ্ডল স্বস্তি পেলেন না। তখন পুলিশ এগিয়ে এলেন স্বস্তি দেওয়ার জন্য। আর এটার জবাব পুলিশ মন্ত্রীকে দিতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: দিল্লি নয়, সাত দিনের জন্য় অনুব্রতর ঠিকানা দুবরাজপুর থানা! তড়িঘড়ি বৈঠকে ইডি
আরও পড়ুন: অনুব্রতর সাত দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ, জামিনের আবেদনই করলেন না কেষ্টর আইনজীবীরা
তার কারণ বলা হয়েছে, যে বীরের মতন অনুব্রত মণ্ডল কে বের করে নিয়ে আসা হবে। আর এখন কুকুরকে যে রকম বকলেস পড়িয়ে রাখে ওই রকম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বকলেস পড়িয়ে নিজের হেফাজতে রাখতে চাইছেন। আর পুলিশ-পুলিশ খেলা চলছে।
সিআইডি হোক বা সিবিআই হোক। আর ইডি হোক বা রাজ্য পুলিশ, কলকাতা পুলিশ হোক বা দিল্লী পুলিশ। সব পুলিশ পুলিশ খেলা চলছে। অমিত শাহ যদি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হন, আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হন, তাহলে এরা অপরাধের জয় জগতের নায়ক নায়িকা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বলেছেন আমি গুন্ডা কন্ট্রোল করি, তাহলে পুলিশকে কিভাবে কন্ট্রোল করবেন ।অপরাধীকে শাস্তি দেওয়ার বদলে তার বিরুদ্ধে কাগজপত্র জোগাড় করার বদলে তাকে কিভাবে বাঁচানো যায় তা দেখছে। সিবিআই কেসে সিআইডি ঢুকছে? আর সিআইডির কাছে সিবিআই ঢুকছে।
তাহলে পুলিশকে এটা বুঝতে হবে তারা কতদিন দাসত্ব হিসেবে কাজ করবেন। সংবিধান মেনে কাজ করবেন না, আইন মেনে কাজ করবেন । পুলিশ নেতাদের স্বস্তি দেওয়ার জন্য কাজ করবেন, নাকি জনগণ কে স্বস্তি দেওয়ার জন্য কাজ করবেন এটা ঠিক করতে হবে। বহরমপুরে এই ভাবেই কটাক্ষ করেছেন মহম্মদ সেলিম।
কৌশিক অধিকারী