পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন নিয়ে প্রথমে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি এবং মুর্শিদাবাদের চার বিধায়কের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে। দলের ব্লক সভাপতিকে সঙ্গে নিয়ে বিধায়ক অনুগামীদের ভোটের টিকিট থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ তোলা হয় তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী শাওনি সিংহ রায় এবং চেয়ারম্যান অপূর্ব সরকারের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর পায়ে ফের চোট, খবর শুনে কী বললেন শুভেন্দু?
advertisement
দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে একের পর এক হুঁশিয়ারি দেন ভরতপুরের বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী হুমায়ুন। সেই পথ ধরেন হরিহরপাড়ার বিধায়ক নিয়ামত শেখ, জলঙ্গির বিধায়ক আব্দুর রাজ্জাক এবং নওদার বিধায়ক শাহিনা মমতাজও। দলের সিদ্ধান্তে শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে হয়েছে হুমায়ুনের ছেলে এবং শাহিনার মেয়েকে।
যদিও ডোমকলে অভিষেকের রাজনৈতিক কর্মসূচিকে ঘিরে আগ্রহ তুঙ্গে ছিল রাজনৈতিক মহলের। কারণ ডোমকলকে ঘিরে বিরোধীরা প্রতিদিন রাজনৈতিক অশান্তির অভিযোগ তুলতে শুরু করেছেন। এরই মধ্যে গতকাল ডোমকলে রাজনৈতিক অশান্তির ঘটনা ঘটে৷ সিপিএম বনাম তৃণমূলের সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে ফের শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক চাপানউতোর। এরই মধ্যে আজ ডোমকলে মিছিল করেন অভিষেক।
জেলার একাধিক নেতা-নেত্রীরা যেমন এই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, তেমনই বিদ্রোহী বিধায়করাও হাজির ছিলেন। বৃষ্টির মধ্যেও প্রচুর সাধারণ মানুষ হাজির ছিলেন রাস্তার দু’ ধারে। বৃষ্টি উপেক্ষা করে মিছিলে পা মেলাতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের। এই ডোমকলে একটা সময়ে বাম ও কংগ্রেস উভয়ের সাংগঠনিক শক্তি ছিল চোখে পড়ার মতো৷ যদিও সাম্প্রতিক সময়ে তৃণমূল কংগ্রেস এখানে ভাল ফল করে৷ অশান্তির আবহে এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে নজর ফের ডোমকলের দিকে।