জঙ্গিপুরঃ অনলাইনের পড়াশুনো জন্য রাজ্যে সরকারের দেওয়া মোবাইল কেনার টাকা দাবী করেছিল স্বামী। আর তা না দিতেই চরম পরিনতি। মুর্শিদাবাদ জেলাতে গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ। মুর্শিদাবাদ জেলার রঘুনাথগঞ্জ থানার অন্তর্গত গঙ্গাপ্রসাদ পুর এলাকায় গৃহবধূ কে খুনের অভিযোগ উঠল। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম রীনা খাতুন। বয়স ২২ বছর। বাপের বাড়ি বৈকুন্ঠপুর গ্রামে। গত দুই বছর আগে রঘুনাথগঞ্জ থানার অন্তর্গত গঙ্গাপ্রসাদ পুর গ্রামের বাসিন্দা নাসিবুল খাতুনের সাথে বিয়ে হয় বৈকুন্ঠপুর গ্রামের বাসিন্দা রীনা খাতুনের। রীনা খাতুনের মা-এর মৃত্যু হয়েছে আগেই। বাবা ভীন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন। ফলে তার বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু পড়াশুনোর প্রতি ছিল অদম্য ইচ্ছা। তিন বছর আগে মাধ্যমিক পাশ করলেও, শ্বশুরবাড়িতে সেই ভাবে পড়া করতে পারেনি। অবশেষে ভর্তি হয় একাদশ শ্রেণিতে।বর্তমানে সে মালডোবা হাইস্কুলের কলা বিভাগের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিল। মৃতের পিসি অভিযোগ করেন, গত দুই বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই নানা ভাবে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করা হত বলেই অভিযোগ। গত সোমবার রীনা খাতুন তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রাজ্যে সরকারের পক্ষ থেকে, অনলাইনে পড়াশুনো করার জন্য মোবাইল কেনার ব্যাঙ্ক দশ হাজার টাকা ঢোকে। দশ হাজার টাকা ঢোকার পরে সেই টাকা দেওয়ার দাবি করেন স্বামী। আর সেই টাকা দিতে অস্বীকার করে গৃহবধূ রীনা খাতুন। তার ফলে স্বামীর সাথে অশান্তি চরম হয়। তার জেরেই বুধবার শ্বশুরবাড়িতে গৃহবধূ রীনা খাতুন কে পিটিয়ে মারা হয় বলে অভিযোগ স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। বুধবার সকালে শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা তারা জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালের গেটের কাছে মৃত অবস্থায় গৃহবধূকে ফেলে চলে যায়। পরেগৃহবধূর বাপের বাড়ির সদস্যদের খবর দেওয়া হয়। ঘটনার খবর পেয়ে জঙ্গিপুর মহকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পৌঁছয় রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ ।পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতাল মর্গে নিয়ে যায় ।ঘটনার পর পলাতক স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির সদস্যরা ।এই ঘটনায় রঘুনাথগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে মৃত গৃহবধূর পরিবারের পক্ষ থেকে। সমগ্র ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ প্রশাসন । ঘটনার পর থেকেই পলাতক স্বামী সহ শশুর বাড়ির সদস্যরা।
মৃত গৃহবধূর পরিবারের সদস্যরা জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে