প্রতিদিনের মত বুধবারেও মাঠে খেলা করতে গিয়েছিল সোহম ও অর্ঘ্যদীপ। খেলার শেষের পর দুই বন্ধু গঙ্গায় স্নান করতে নামে। গঙ্গার পাড়ে ছিল আরও অন্যান্য বন্ধুও। কিন্তু নিমেষের মধ্যেই নদীতে তলিয়ে যায় ওই দু’জন। খবর পেয়ে ছুটে আসেন পরিবারের লোকজন। ঘটনাস্থলে বহরমপুর থানার পুলিশ ও সিভিল ডিফেন্স টিম এসে নদীতে তল্লাশি শুরু করে। ঘন্টা কয়েকের তল্লাশির পর উদ্ধার হয় দুজনের মৃতদেহ। বন্ধু সায়ন রায় বলেন, ‘‘আমরা একসঙ্গে ফুটবল খেলছিলাম। ওরা নদীতে এসে স্নান করতে নামে। তারপরে আমরা আর ওদের দুজনকেই দেখতে পাইনি৷ প্রত্যক্ষদর্শী তাপস মণ্ডল বলেন, আমি চায়ের দোকানে বসে ছিলাম। দেখলাম দুটো ছেলে নদীতে স্নান করতে নামল। কিন্তু তারপরেই ওদের বন্ধুরা চিৎকার শুরু করে ওদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এর পরই জানতে পারলাম ওরা দুজনেই নদীতে তলিয়ে গিয়েছে।’’
advertisement
আরও পড়ুন : হাঁটুর যন্ত্রণা থেকে উজ্জ্বল চুল, এই তেলের উপকারিতা জুড়িহীন
অন্যদিকে বুধবার দুপুরে ডোমকল থেকে চার বন্ধু দুটি বাইকে করে ভৈরব নদীর ফতেপুর ও সুন্দরপুর ঘাটে স্নান করতে আসে। স্থানীয়দের থেকে জানা যায় সপ্তাহে একদিন করে এই যুবকেরা নদীতে স্নান করতে আসে ও বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে স্নান করে। কিন্তু এ দিনই ঘটে যায় বিপত্তি। চার বন্ধুর মধ্যে রিজুয়ান আনসারি (১৯) ও নয়ন আনসারি (২০) নদীতে স্নান করতে নামার কিছু ক্ষণ পরই নদীতে তলিয়ে যায়। আর দুই বন্ধুর চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে এসে উদ্ধারে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে ৷ তবুও চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা করা যায়নি।
আরও পড়ুন : দাম্পত্যে তিক্ততা ক্রমশই বাড়ছে? দূর করুন সহজেই
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে হরিহরপাড়া ও ডোমকল থানার পুলিশ, হরিহরপাড়ার বিডিও রাজা ভৌমিক, ডোমকলের বিধায়ক জাফিকুল ইসলাম। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ডোমকল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনায় পরিবার জুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। উদ্ধারকারী বিক্রম মাঝি বলেন, ‘‘কেউ ডুবে যাচ্ছে দেখে আমি নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ি। একজনকে জল থেকে তোলার চেষ্টা করলেও পারিনি। জলের স্রোতে ও তলিয়ে যায়।’’