এলাকার আলু চাষিরা সরকারি ন্যায্য মূল্যে এই হিমঘরে আলু রাখতে পারতেন। কিন্তু চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ায় ২০২২ সালে হিমঘরটি বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েন আলু চাষিরা। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে এই হিমঘরটি পুনরায় চালু করার দাবি জানাচ্ছিলেন। কিন্তু এটি চালু করা নিয়ে নানান টালবাহানা শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত বিধায়কের হস্তক্ষেপে এই হিমঘরে সর্বোচ্চ বেতনের কর্মী নিয়োগ করা হয়। এরপর চাষিদের সুবিধার্থে খুলে দেওয়া হল সমবায় সমিতি পরিচালিত হিমঘরটি।
advertisement
আরও পড়ুন: রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে সারি সারি শুকনো গাছ, দুর্ঘটনার আশঙ্কায় ক্ষুব্ধ আরামবাগবাসী
প্রসঙ্গত, আমরা বছরভর আলু খাই। কিন্তু আলু চাষের একটা নির্দিষ্ট সময় আছে। ফলে শীতকালের শেষের দিক ছাড়া বাকি সময়টা মূলত সংরক্ষণ করে রাখা আলু আমাদের পাতে পড়ে। কিন্তু এই আলু সংরক্ষণ নিয়ে হামেশাই নানান সমস্যা দেখা দেয়। বাংলায় প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট আলু উৎপাদিত হলেও হিমঘর কম বলে উৎপাদনের একটা বড় অংশ সংরক্ষণ করা সম্ভব হয় না। ফলে আলু চাষিদের একাংশ জলের ধরে আলো বিক্রি করে দিতে বাধ্য হন। তাছাড়া হিমঘরে আলু রাখা নিয়েও নানান কালোবাজারি হয়। সবমিলিয়ে উৎপাদন ভালো হলেও হামেশাই ক্ষতির মুখে পড়তে হয় আলু চাষিদের।
নতুন করে বড়ঞা সমবায় সমিতি পরিচালিত হিমঘরটি চালু হওয়ায় খুশি এলাকার আলু চাষিরা। তাঁরা বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
কৌশিক অধিকারী