অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর গড় বহরমপুর দখলের কথা বললেও অধীর চৌধুরী অবশ্য গতকালই পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেছিলেন, ‘তৃণমূলের কোনও ছোটখাটো নেতার বিরুদ্ধে না লড়ে আমার ইচ্ছা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়া৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বহরমপুর থেকে ভোটে দাঁড়িয়ে আমাকে হারিয়ে দেখাক৷ তাহলে রাজনীতি করা ছেড়ে দেব৷’
আরও পড়ুন: নেতাদের বকুনি, কথা না শুনলে কী হবে? মুর্শিদাবাদে স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন অভিষেক
advertisement
মুর্শিদাবাদ নিয়ে আত্মবিশ্বাসী অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। নবজোয়ার যাত্রায় তিন দিন মুর্শিদাবাদে জনসংযোগ সারলেন অভিষেক। আর এই সফর উল্লেখ করে তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি মুর্শিদাবাদের আপামর জনগণের কাছে আজীবন ঋণী হয়ে থাকব। আপনাদের নিঃস্বার্থ ভালোবসা, আমাদের উপর আস্থা ও সমর্থনে আমি মুগ্ধ৷’
সোমবার জনসংযোগ যাত্রার চতুর্দশ দিন ছিল। অভিষেক বলেন, ‘মুর্শিদাবাদের মানুষের আশীর্বাদকে শিরে ধারণ করে, আমি আগামী দিনের যাত্রার জন্য প্রস্তুত। যতই প্রতিকূলতা আসুক, আমরা তৃণমূল স্তরে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার যে ব্রত নিয়েছি তা বাস্তবায়িত করবই।’
বিগত দু’ দিন পঞ্চায়েতে প্রার্থী বাছাই ঘিরে সাময়িক উত্তেজনা তৈরি হলেও, তাকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে রাজি নয়, তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। অভিষেকের কথায় উঠে এসেছে, ‘জনসংযোগ যাত্রার চতুর্দশতম দিনে, মুর্শিদাবাদে সারাদিনব্যাপী কর্মসূচি শেষ করে দলীয় অধিবেশনের কাজে চলে এসেছিলাম বড়ঞা বিধানসভায়। পঞ্চায়েত, ব্লক ও জেলাস্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকর্মীবৃন্দের উপস্থিতি আর উদ্দীপনা, দুই-ই ছিল চোখে পড়ার মতো। আমরা সবাই মিলে আগামী দিনের গঠনমূলক পরিকল্পনাগুলি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। আলোচনার পর যে, ইতিবাচক আবহ সৃষ্টি হল, তা সত্যি প্রেরণামূলক।’
মুর্শিদাবাদ সফর শেষে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যত দিন যাচ্ছে একটা জিনিস স্পষ্ট করে বুঝতে পারছি, পঞ্চায়েতে প্রার্থী বাছাইয়ের দায়িত্ব পেয়ে মানুষ অত্যন্ত খুশি। প্রার্থী চয়নের এই অভিনব ভাবনায়, জেলার মানুষ রাজনৈতিক মঞ্চে নিজেদের গুরুত্ব নতুন করে বুঝতে পারছে।’