সোমবার বীরভূমের অধিকাংশ জায়গায় লিটার প্রতি ডিজেলের দাম ১০০ টাকার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। এমত অবস্থায় যেমন বাস মালিকরা অসুবিধায় পড়ছেন ঠিক তেমনি সাধারণ মানুষও পরোক্ষভাবে অসুবিধার সম্মুখীন। কারণ ডিজেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে ট্রান্সপোর্ট খরচ। এই ট্রান্সপোর্ট খরচ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে চলেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম।
আরও পড়ুন Vegetable Price Hike: বাজার করতে গিয়ে পকেট খালি মধ্যবিত্তের, সবজির দামে আগুন
advertisement
এর পরিপ্রেক্ষিতে সিউড়ির বাসিন্দা অমল কুমার মাঝি জানিয়েছেন, "দিন দিন পেট্রোল-ডিজেলের দাম বেড়ে চলেছে। আর এই পেট্রোল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েছে। আমাদের মত মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষদের দৈনন্দিন জীবনে নানা অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।"
একইভাবে গণপরিবহণ পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত গৌতম কুন্ডু নামে এক বাস কর্মী জানিয়েছেন, "আগে যেখানে বহরমপুর থেকে সিউড়ি আসার জন্য ২০০০ টাকার ডিজেল ভরতে হত, সেই জায়গায় এখন ডিজেল ভর্তি হচ্ছে ৩৩০০ টাকার। এমন পরিস্থিতিতেও বাসের ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়নি। আর এইভাবে ডিজেলের দাম বেড়ে চলায় বাসের ভাড়া বৃদ্ধি করা না হলে আর আমরা বাস চালাতে পারবো না।"
তিনি আরও জানিয়েছেন, "আমরা বাধ্য হয়ে যাত্রীদের অনুরোধ করছি বেশি ভাড়া দেওয়ার জন্য। কিন্তু আমাদের সেই অনুরোধ কোন কোন যাত্রী মানছেন আবার কেউ কেউ মানতে চাইছেন না। এমন পরিস্থিতিতে বাস মালিকরা তো আর বেশি দিন নিজেদের লোকসান করে বাস চালাবেন না।"
অন্যদিকে পেট্রোল ডিজেল সহ অন্যান্য জ্বালানির দাম এভাবে প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সিউড়ির বেশকিছু বাসিন্দা পেট্রোল-ডিজেলের (Petrol Diesel) উপর জিএসটি (GST) লাগু হয় তার দাবি তুলেছেন। তাদের দাবি, 'এটা সরকারের ব্যর্থতা। সরকারের ব্যর্থতার জন্য এমনটা হচ্ছে। সরকার যদি জিএসটি লাগু করে তাহলে ডিজেলের দাম অনেকটাই কমে যাবে।"
অন্যদিকে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ (TMC MP) শতাব্দী (Satabdi Roy) রায় পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির পরিপেক্ষিতে জানিয়েছেন, "পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে যার গাড়ি নেই সে ভাববে না যে শান্তিতে থাকতে পারবেন। এই ডিজেল ও অন্যান্য পেট্রোপণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়ছে। সুতরাং তার গাড়ি আছে তাকেও ভুগতে হচ্ছে, যার গাড়ি নেই তাকেও ভুগতে হচ্ছে।"
মাধব দাস