স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একটি হন্ডা সাইন বাইকে করে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে আসে তিন যুবক। সেই সময় জেলা পরিষদ রোডে, রাস্তার ধারে মোবাইল হাতে নিয়ে মেডিক্যাল পড়ুয়া ওই তরুণী ও তার আরেক বন্ধু কথা বলছিলেন নিজেদের মধ্যে। সেই সময়ই ওই তিন দুষ্কৃতীর মধ্যে বাইকের পেছনে থাকা যুবক তরুণীর হাত থেকে ছোঁ মেরে মোবাইল কেড়ে নেয়! কিন্তু, অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে তরুণীর সঙ্গে থাকা বছর ২০'র যুবকটি কিছুটা ছুটে গিয়ে ওই দুষ্কৃতীর জামার কলার ধরে ফেলে। বাইক থেকে পড়ে যায় ওই দুষ্কৃতী। এরপরই চলে গণপ্রহার! সেই সময়ই দুষ্কৃতীর কাছে থাকা ভোজালিটিও মাটিতে পড়ে যায়। এরপরই, স্থানীয়রা কোতোয়ালী থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে ওই দুষ্কৃতী-কে পাকড়াও করে নিয়ে যায়। ক্যামেরার সামনে সুনীল নামে ওই দুষ্কৃতী স্বীকার করেছে, সে নাকি এদিনই প্রথম এই কাজে নেমেছে। ওই ২ জন আগে থেকেই এই ধরনের কাজ করে বেড়ায়! পুলিশ তাদের সন্ধান চালাচ্ছে।
advertisement
প্রসঙ্গত এও উল্লেখ্য যে, মেদিনীপুর ও খড়্গপুর শহরে বিগত কয়েক বছর ধরেই এই ধরনের বাইকে করে আসা ছিনতাইবাজদের দাপট বেড়েছে! তাদের টার্গেটে থাকেন মূলত মহিলারা। কখনও গলার হার, কখনও মোবাইল কিংবা মানি পার্স! সজোরে বাইক চালিয়ে এসে হাত থেকে কেড়ে নিয়ে 'হাওয়া' হয়ে যায় এই ধরনের ছিনতাইবাজরা। খড়্গপুর শহরে নিয়মিত এই ধরনের ঘটনা ঘটলেও, মেদিনীপুর শহরে এই ধরনের ঘটনা তুলনায় কম! রবিবার সন্ধ্যার এই ঘটনার পর তাই নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ।