পশ্চিম মেদিনীপুর: জেলা পরিষদ এর উদ্যোগে শালবনীর ব্লকের ১০ নম্বর কর্ণগড় অঞ্চলের, কৃষ্ণনগরে একটি পানীয় জলের পাম্প হাউস ও চৈতাতে একটি পানীয় জলের পাম্প হাউস তৈরি করা হয়। শালবনীর বাগমারি থেকে ভাবরিগড়িয়া পর্যন্ত প্রায় ৩০০/৩৫০ পরিবারের বসবাস। লক্ষ্য ছিল,দুবছর আগে এই এলাকার সমস্ত মানুষকে পানীয় জল সরবরাহ করার। কিন্তু সাধারণ মানুষের অভিযোগ, তারা পাম্প হাউস এর জল এর সুবিধা পাচ্ছেনা। শুরু হয়েছে গ্রীষ্ম। আর এই গ্রীষ্মের শুরুতেই ঐ সমস্ত এলাকার মানুষদের জলকষ্ট ক্রমশই বাড়ছে। গ্রামবাসীদের মধ্যে জল সংকটের আশঙ্কা। দেখা দিতে শুরু করেছে। তারা কোথা থেকে জল পাবে এই নিয়ে উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষ। তারা স্থানীয় পাম্প হাউস কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানোর পরেও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলেই অভিযোগ গ্রামবাসীদের। তবে এরকম সমস্যা যদি তীব্র হয়, তাহলে আগামীদিনে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাপরিষদে সাধারণ মানুষ লিখিত অভিযোগ জানাবেন, এবং তাতেও যদি না হয় তাহলে আন্দোলনের পথে যেতে বাধ্য হবে সাধারণ মানুষ। প্রসঙ্গত, পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনী ব্লক জঙ্গল অধ্যুষিত এলাকায় অধিকাংশ মানুষ পিছিয়ে পড়া বা ব্যাক ওয়ার্ড ক্লাসের। তাই জঙ্গলমহলের এই সমস্ত পিছিয়ে পড়া এলাকা গুলোতে আরও বেশী বেশী উন্নয়নের পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। এই সমস্ত এলাকায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পানীয় জল, পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার সর্বদা অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। কিন্তু বেশ কিছু প্রকল্প চালু হলেও তা পর্যবেক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বিকল হয়ে পড়ে, যার ফলে সেইসব পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হয় এসব এলাকার পিছিয়ে পড়া মানুষেরা। তবে এ বিষয়ে দ্রুততার সঙ্গে পানীয় জলের সমস্যা মেটানোর ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন শালবনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মিনু কোয়াড়ী।