ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গোয়ালতোড় থানার অন্তর্গত কুঞ্জ বনকাটি গ্রামের এক নাবালিকা গত ২০১৬ সালের ২ রা জানুয়ারি (সেই সময় বয়স ছিল মাত্র ১৩ বছর), গ্রামের পাশের একটি পুকুরে অন্যান্য সঙ্গী-সাথীদের সঙ্গে স্নান করতে গিয়েছিল। স্নান করার সময় ওই গ্রামেরই আশরফ চৌধুরী নামে এক যুবক ওই নাবালিকা মেয়েটিকে জলের মধ্যেই জড়িয়ে ধরে এবং শ্লীলতাহানি করে। অভিযোগ অনুযায়ী, 'ধর্ষণ' করার চেষ্টা করা হয়! সেই সময় মেয়েটি সাহায্যের জন্য চিৎকার করে। তার 'চিৎকার' বন্ধ করার জন্য, আশরফ নামে ওই যুবক জলের মধ্যে তাকে ডুবিয়ে রেখে প্রাণে মারার চেষ্টা করে! পুকুরে থাকা অন্যা সঙ্গী-সাথীরা দেখতে পেয়ে চিৎকার করলে, আশরফ পালিয়ে যায়। এরপর, তারা ওই নাবালিকার বাড়িতে খবর দিলে, বাড়ির লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায় । পরে গোয়ালতোড় থানায় অভিযোগ দায়ের করে আশরফ চৌধুরীর বিরুদ্ধে। গোয়ালতোড় থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এরপর, ওই যুবককে মেদিনীপুর আদালতে তোলা হয় (কেস নম্বর POCSO NO 2/2016) এবং গত ৫ বছর ধরে মামলা চলে। অবশেষে, দীর্ঘ ৫ বছর ৭ মাস মামলা চলার পর বুধবার (২৫ আগস্ট) মেদিনীপুর অতিরিক্ত (দ্বিতীয়) জেলা জজ তানিয়া ঘোষ অভিযুক্তকে সাড়ে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দন্ডিত করে সাজা ঘোষণা করেছেন এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন (অনাদায়ে আরও দু'মাস জেল)।
advertisement
Partha Mukherjee