যদিও ইতিমধ্যেই দুর্গাপুর ছাড়িয়ে তার গন্তব্যের দিকে আরও কিছুটা এগিয়ে গিয়েছেন সত্যেন দাস। সত্যেন দাস বলেছেন, পরিবেশ রক্ষা করতে এই লড়াইটা তিনি নিরন্তর চালিয়ে যাবেন। এর আগেও একবার রিক্সা নিয়ে তিনি লাদাখের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছিলেন। ২০১৪ সালে তিনি ৬৫ দিন ব্যয় করেছিলেন রিক্সা নিয়ে লাদাখ যাওয়ার জন্য। সেইসময়ও একই পন্থায় তিনি বিশ্ব উষ্ণায়ন থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করা, সবুজ এবং জল বাঁচানোর প্রচার করেছেন। যদিও ২০১৪ সালে সত্যেন দাস গিয়েছিলেন লাদাখ পর্যন্ত। তিন হাজার কিলোমিটার রাস্তা তিনি রিকশা চালিয়ে গিয়েছিলেন। তবে এবারে লড়াইটা আরও কঠিন। কারণ তিনি ঠিক করেছেন, এবারে তার গন্তব্য হবে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের সিয়াচেন।সত্যেন দাস জানিয়েছেন, তার প্রথম লড়াইটা শুরু হয় ১৯৮৩ সালে। সে সময় তিনি ঠিক করেছিলেন পুরী ঘুরতে যাবেন। কিন্তু অর্থ সংকটের জন্য তিনি যেতে পারছিলেন না। তাই খেয়ালের বশে সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন পুরীর উদ্দেশ্যে।
advertisement
উদ্দেশ্য সফল করে ফিরেছিলেন তিনি। প্রকৃতির সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ স্থাপন করেছিলেন। আধুনিক সভ্যতা যে পরিবেশকে অনেকাংশে ধ্বংস করে তুলছে, সেটাও উপলব্ধি করেছিলেন। তখন থেকেই জেদ চেপে বসে তার মাথায়।পৃথিবীকে বাঁচাতে, পরিবেশ বাঁচাতে তিনি উদ্যোগী হয়েছেন বারবার। তবে নজরকাড়া সাফল্য তিনি প্রথমবার পেয়েছেন ২০১৪ সালের লাদাখ যাত্রায়। করোনা মহামারীর আবহে, এই বছর ফের তিনি সিয়াচেন এর উদ্দেশ্যে রিক্সা নিয়ে পাড়ি দিয়েছেন।সত্যেন বাবুর আশা, এই যাত্রাতেও তিনি সফল হয়ে ফিরবেন। পরিবেশ রক্ষা করতে তার এই পরিশ্রম এবং প্রচার কিছুটা হলেও মানুষকে সচেতন করবে। তাতেই তার উদ্যোগ সফল হবে।