প্রতারকরা অসিত হালদার কে প্রলোভন দেখায় টাকা দ্বিগুণ করে দেওয়ার। আর সেই প্রলোভনে পা দিয়ে অসিত হালদার ছয় লক্ষ টাকা নিয়ে জ্যোতিষপুর যান।সেখানে প্রতারকরা কিছু বিশেষ রংবেরঙের কেমিক্যাল পাশের ঘরে একটি পাত্রে গুলে রাখে। আর একটি ঘরে অপর পাত্রে আসল টাকার বান্ডিলটি রাখতে বলে। এরপর অসিত হালদার কে পাশের ঘর থেকে কেমিক্যালের পাত্রটি আনতে বলে প্রতারকরা। অসিত হালদার স্থির বিশ্বাসে কেমিক্যাল মেশানো পাত্রটি আনতে চলে যান। আর এই সুযোগে প্রতারকরা প্রকৃত টাকার বান্ডিলটি সরিয়ে তাতে টাকার মতো করে কাটা কাগজের বান্ডিল ঢুকিয়ে দেয়। এরপর, অসিত হালদার কে নকল টাকা রাখা পাত্রে কেমিক্যাল ঢালতে বলেন। কেমিক্যাল ঢালার পর অসিত হালদার কে বলেন ওই পাত্রটি নিয়ে বাড়ি চলে যেতে এবং একদিন বাদে পাত্রটি খুলতে।অসিত হালদার স্থির বিশ্বাসে ওই পাত্র নিয়ে চলে যান। পরের দিন, বাড়িতে পাত্রটি খুলে তাজ্জব হয়ে যান অসিত বাবু। দেখেন টাকাতো দ্বিগুণ হয়নি উল্টে, ওই পাত্রে কেবল কাগজের টুকরো রয়েছে। এরপরই প্রতারণার অভিযোগ তোলেন প্রতারিত অসিত হালদার।
advertisement
এ বিষয়ে বাসন্তী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। পুলিশ অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালিয়ে ২৪ ঘন্টার মধ্যে জ্যোতিষপুর এলাকা থেকে বাবলু ওরফে মহাদেব মণ্ডল এবং বাসন্তী থেকে দেবু কর্মকার নামে দুই প্রতারক কে গ্রেফতার করে। ধৃতদের কাছ থেকে প্রায় চার লক্ষ টাকা, বেশ কিছু টাকার মতো করে কাটা কাগজের টুকরো, কিছু কেমিক্যালের কৌটো, প্রতারণা করার কাজে ব্যবহৃত কিছু পাত্র উদ্ধার করে। এদিকে বাকী আর একজন প্রতারকের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।এই চক্রের সাথে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা সে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।