স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মোবাইলে অনলাইন গেম খেলাকে কেন্দ্র করে পাড়ার কিছু ছেলেদের সঙ্গে প্রায়শই সুরাজের ঝগড়া লেগেই থাকত। তার জেরে হাতাহাতিও হয়েছে কয়েকবার। অন্যান্য দিনের মত এদিন বিকেলেও গেম খেলার নাম করে বাড়ি থেকে বাইরে খেলতে বেরিয়েছিল সুরাজ। কিন্তু বাড়ি ফেরার সময় অতিক্রান্ত হয়ে যায়। সেদিন রাত গড়িয়ে গেলেও কোন খবর মেলেনি তার। বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন এলাকায় খুঁজতে বেরোয় ওই কিশোরকে। সম্ভাব্য সমস্ত জায়গা খোঁজ নেওয়ার পর অবশেষে পরিবারের তরফে মন্দিরবাজার থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করাহয়। এরপর, বিকেল নাগাদ আচমকা মৌজপুরের রেললাইনের ধারে সুরাজের ক্ষতবিক্ষত দেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ আসে ঘটনাস্থলে। খবর দেওয়া হয় ওই কিশোরের পরিবারকে। এরপরই, মৃত কিশোরের পরিবারের লোকজন অভিযোগ জানান, সুরাজ কে খুন করে দেহ ফেলে রেখে পালিয়েছে অভিযুক্তরা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই ঘটনার তদন্ত শুরু করে মন্দিরবাজার থানার পুলিশ। মৃত সুরাজের বন্ধুদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর দুই নাবালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মৃত দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাঠানো হয়। কিশোরকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃতের পরিবারের সদস্যরা। এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া।
advertisement
রুদ্র নারায়ণ রায়
