সোমবার থেকে রায়চৌধুরী বাড়ির মন্দিরের সামনে ভিড় জমাতে শুরু করেন বহু মানুষ। রথের অনুষ্ঠান বন্ধ থাকলেও প্রত্যেকে সামাজিক দূরত্ব মেনে মন্দিরে জগন্নাথ দেবের পুজো দিয়ে বাড়ি ফিরছেন নিরাশ হয়ে। রায়চৌধুরী বাড়ির বর্তমান কর্তা অমিয়কৃষ্ণ রায়চৌধুরী বলেন, \'জমিদারি বিলীন হলেও জৌলুসে খমতি থাকেনি। প্রাচীন রীতিমেনেই রথ যাত্রা করি আমরা। কিন্তু করোনার কারণে গত বছর থেকে রথ যাত্রা বন্ধ। এবছরও বিশেষ শতর্কতা নিয়ে কেবল পুজোর আয়োজন করা হয়েছে।\'
advertisement
জানা যায়, প্রায় ৩০০ বছর আগে জমিদারি হাতে পেয়েছিলেন রাজবল্লভ চৌধুরী। বারুইপুরে আদিগঙ্গার পাড়ে প্রাসাদসম বাড়ি, ঠাকুরদালান ও সেরাস্তা তৈরি করিয়ে ছিলেন তিনি। তাঁর জমিদারি সুন্দরবন পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। কর্নওয়ালিশের আমলে সেই জমিদারি ফুলে ফেঁপে ওঠে। কথিত আছে, একদিন রাজবল্লভের ইচ্ছে হয় পুরিতে জগন্নাথ দেবের দর্শনে যাবেন। কিন্ত রাতে স্বপ্নাদেশে পেয়ে নিজের বাড়িতেই জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার মূর্তি প্রতিষ্ঠা করে রথ যাত্রার সূচনা করেছিলেন। সেই থেকে এখনও নিয়ম মেনে চলছে বারুইপুরের রায়চৌধুরী বাড়ির রথ যাত্রা। একসময় ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বেশ কিছুদিন এই বাড়িতেই অবস্থান করেছিলেন। \'দুর্গেশ নন্দিনী\' উপন্যাসের বড় অংশই এই বাড়িতে বসে লেখা হয়েছিল বলেও কথিত আছে।
