সম্প্রতি তথ্য উঠে এসেছে জলপাইগুড়ি শহরের নয়াবস্তির পুরনো মসজিদ এবং নিউ সার্কুলার রোডে বেশ কয়েকজন কাবুলিওয়ালা থাকেন। সেখানকারই এক বাসিন্দা মোহাম্মদ ওসমান তীব্র ক্ষোভ উগরে দেন। তাঁর কথায়, পাকিস্তান মদত দিচ্ছে। সঙ্গে চিন। এই কঠিন সময়ে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে নইলে অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক কাবুলিওয়ালা নিউজ ১৮ লোকালকে বলেন, 'আমার ছেলে ও দেশে আটকে আছে। আজ এত দিন হয়ে গেল কোনও যোগাযোগ করতে পারিনি। ছেলেটার গলাও শুনিনি। টিভিতে দেখতে পাচ্ছি সবটা। ভয় করছে! ছেলেটাকে ফিরে পাবো তো?'
advertisement
প্রসঙ্গত দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এস পুন্নমবল্লম বলেন, 'পাহাড়ের ২০০ জনের বেশি বাসিন্দা আফগানিস্থানে আটকে রয়েছেন। পার্বত্য এলাকার বহু মানুষ বিদেশে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত রয়েছেন। আফগানিস্তানেও সে রকমই বহু মানুষ রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কেউ বিবাহসূত্রে সেই জায়গায় বসবাস করতে শুরু করেছেন, কেউ প্রাক্তন সেনাকর্মী, কেউ বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কর্মরত, কেউ বা ঘুরতে গিয়ে আটকে গিয়েছেন। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত দার্জিলিং জেলায় এহেন চারজনের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। তার মধ্যে একজন দার্জিলিং সদর মহকুমার বাসিন্দা বাকি তিনজন কার্শিয়াংয়ের। ইতিমধ্যে যে তথ্য আমাদের কাছে উঠে এসেছে পাহাড় সমতল মিলিয়ে পার্বত্য এলাকারই বেশি মানুষ সে দেশে আটকে। প্রতিটি থানা এলাকা থেকে তথ্য সংগ্রহের কাজও শুরু করা হয়েছে। দফায় দফায় রাজ্যের স্বরাষ্ট্র এবং সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।'