মূলত জ্বালানির দাম আন্তর্জাতিক বাজারে নির্ভর করে এটা ঠিকই কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম যা এর চেয়ে ভারতে বেশিরভাগটাই থাকে করের জন্য। লকডাউনের বাজারে সাধারণ মানুষের মধ্যে অনেকেরই আয় কমে এসেছে। অনেকের পক্ষে এত দাম দিয়ে পেট্রোল কেনার ক্ষমতা ক্রমেই কমে আসছে। তাদের মতে কেন্দ্র-রাজ্য যদি পেট্রোল ডিজেলের উপর কিছুটা হলেও কর কমাতে পারে তাহলে সাধারণ মানুষ কিছুটা স্বস্তি পাবে। পশ্চিমবঙ্গ সমেত কিছু রাজ্যে জ্বালানির উপর কর কমানো হয়েছে ইতিমধ্যে কিন্তু বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম এতটাই বেড়েছে যে সেঞ্চুরি হাঁকাতে বসেছে পেট্রোল ডিজেল। মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এর মত রাজ্যে ইতিমধ্যে পেট্রোল ১০০ পার করেছে। আবার ভারতের ইতিহাসেও নজির গড়েছে ডিজেল এর দাম। কোনো কোনো রাজ্যে ডিজেলও সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে। গত ২৫ দিনে পেট্রোলের দাম ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে মে মাসের শুরু থেকেই। প্রায় ১৫ থেকে ২০ দিনের মত সময় কমেনি দাম। আজকের তথ্য অনুযায়ী রাজ্যে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম প্রায় সমান। ৯৬.৫৮ টাকা পেট্রোল ও ডিজেলের দাম ৯০.২৫। টেক্কা দিয়ে চলছে পেট্রোল-ডিজেল। মধ্যবিত্তদের মতে এভাবে যদি চলে আগামী দিনে গাড়ি নিয়ে বেরোনোই তাদের পক্ষে অনেকটাই অসুবিধায় পড়তে হবে।
advertisement
রাজ্য ও কেন্দ্রের মধ্যে বিভিন্ন ইস্যুতে সংঘাত অনেকদিন ধরেই। রাজ্য বরাবরই জ্বালানির দাম বৃদ্ধি কে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের মতে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম অনুসারে এই মূল্যবৃদ্ধি। সরকারের মতে রাজ্য সরকার গুলি যদি কিছুটা জ্বালানির ওপর কর নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে তাহলে এর হাত থেকে সাধারণ মানুষ অনেকটাই স্বস্তি পাবে বলে আশা। এই অপেক্ষাতেই গোটা রাজ্য থেকে জেলা। কবে কমবে জ্বালানির দাম থেকেই যাচ্ছে এই প্রশ্ন। শুধু অপেক্ষা ছাড়া গতি নেই।