পর্যটকদের প্রিয় গন্তব্য থাইল্যান্ড থেকে এবার অতিরিক্ত আরও ২৪ টি গণেশমূর্তিসহ একটি দূর্গা মূর্তির বরাত পেয়েছেন তিনি। সমগ্র যাত্রাপথ হবে জলপথে। সব মূর্তি জাহাজে চাপিয়ে যথা সময়ে সাগরপারের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে পরিমলবাবুর কারখানায় এখন চূড়ান্ত ব্যস্ততা। শিল্পী পরিমলবাবুর বাড়ি হাবড়ার পৃথিবা গ্রাম পঞ্চায়েতের বানীপুর আমবাগান টালিরভাটা এলাকায়। তিনি জানান, ২০১৩ সাল থেকে তিনি থাইল্যান্ডের বিষ্ণুমন্দিরে দুর্গাপ্রতিমা গড়ে আসছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পুজো উদ্যোক্তারাই পাঠিয়ে দিতেন তাঁর বিমানযাত্রার টিকিট ও আনুসঙ্গিক খরচপাতি। থাইল্যান্ডে গিয়ে সেখানে মণ্ডপেই গড়তেন প্রায় ১৪ ফুট উচ্চতার দুর্গা প্রতিমা। দুর্গা মায়ের রূপ দেখে ধন্য হতেন প্রবাসীরা। এমনটাই হয়ে আসছিল ২০১৩ সাল থেকে।
advertisement
গঙ্গার মাটি, জল, বিচালি, বাঁশে ধাপে ধাপে রূপ পেয়েছে দুর্গা প্রতিমা। থার্মোকল, চুমকিতে তৈরি হচ্ছে মায়ের সাজের গহনা। পরিমলবাবু জানান, থাইল্যান্ডেও দিনে দিনে গণেশপুজোর চল বাড়ছে। এই প্রবণতা তো আমাদের এখানেও দেখা যাচ্ছে। তাই এবার তিনি সব মিলিয়ে মোট ২৪ টি গণেশ মূর্তি ও একটি সপরিবারে দূর্গা মূর্তি পাঠাচ্ছেন সেখানে। এক ফুট থেকে পাঁচ ফুট পর্যন্ত নানা উচ্চতার এতগুলি গণেশমূর্তি গড়ছেন তিনি। আগামী মাসেই সব মূর্তি ভালোভাবে বাক্সবন্দি করে থাইল্যান্ডগামী জাহাজে তুলে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। থাইল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকা সহ বিষ্ণমন্দিরে হাবড়ার এই প্রতিমা আরাধনা শামিল হবে বলেও জানান তিনি।