কারণ যে হারে দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ বেড়েছিল সে কথা মাথায় রেখেই তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পক্ষে পিছিয়ে গিয়েছে সরকার। যার ফলে গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বিভিন্ন ছাত্র-ছাত্রীদের বাড়ি থেকেই অনলাইন পরিষেবা দেওয়া হচ্ছিল বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং স্কুল বা প্রাইভেট শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে। সে কথা মাথায় রেখেই সরকারের পক্ষ থেকে আগেই অনলাইনে পড়াশোনা করার জন্য ১০০০০ টাকার ট্যাব কেনার জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অনেক ছাত্র-ছাত্রী এই সুবিধার আয়ত্তে এসেছে ঠিকই কিন্তু তার মাঝেও বহু ছাত্র-ছাত্রীদের অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। বহু ছাত্র-ছাত্রীদের ঘরে পৌঁছতে পারেনি এই অনলাইন পরিষেবা। আর তার জন্যই সরকারের পক্ষ থেকে \'দিদির পাঠশালা\' চালু করা হয়েছে, যার মাধ্যমে গরীব, দুস্থ সকল ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা প্রদান করা হবে। সেই মতই বিভিন্ন পৌরসভার উদ্যোগে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কমিউনিটি হল গুলোতে চালু হয়েছে \'দিদির পাঠশালা\'। ঠিক তেমনি অশোকনগর কল্যাণগড় পৌরসভা উদ্যোগে ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে কমিউনিটি হলে চালু হল দিদির পাঠশালা, আর সেখানে করোনাবিধি মেনে চলছে শিক্ষা প্রদান। পঞ্চম ক্লাস থেকে দশম ক্লাস পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে অভিজ্ঞ শিক্ষক শিক্ষিকার মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে শিক্ষা প্রদান। সোম থেকে শুক্র সকাল আট টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলে এই দিদির পাঠশালা। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই দিদি পাঠশালার মাধ্যমে শিক্ষা প্রদান করা হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে। কারণ লকডাউনে বহু মানুষের কাজকর্ম চলে যাওয়ার ফলেই এই ভাবনা।
advertisement
অশোকনগর কল্যাণগড় পৌর অঞ্চলের মধ্যে মোট ৭০ থেকে ৮০ জন ছাত্র-ছাত্রী এই দিদির পাঠশালার আওতায় এসেছে। আগামী দিনে আরও এমন দুস্থ মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী \'দিদির পাঠশালা\'য় আয়ত্তে আসবে বলে মত উদ্যোক্তাদের।