সংসার সামলানোর জন্য নিজের চাকরি পর্যন্ত ত্যাগ করতে হয়েছে স্ত্রীর অলোকা সরকারের। ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ক্ষিতীশ বাবু। এদিন এই রাষ্ট্রপতি পুরস্কারের সংবাদ স্থানীয় অশোকনগরের বাড়িতে পৌছতেই খুশির আনন্দে ফেটে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের কথায় বেশ কিছু বছর ধরে আশায় ছিল তার এই কৃতিত্ব খুব শিগগিরই হয়তো ঘোষিত হবে। সেই আশাই যেন প্রস্ফুটিত হল এদিন। স্বাধীনতা দিবসের ঠিক আগের দিন আজ মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে শুভ সংবাদটি এসে পৌঁছায় ক্ষিতীশ চন্দ্র সরকারের পরিবারের কাছে। ক্ষিতীশ বাবুর স্ত্রী অলোকা সরকার এই খবর পেয়ে এতটাই আনন্দিত যে পরিবারের সমস্ত সদস্যদের সাথে ভাগ করে নিতে চায়েছেন। কিন্তু কর্মসূত্রে তার মেয়ে, জামাই বাইরে থাকায় তা হয়ে উঠছে না। তার মেয়েও কর্মরত ডিফেন্সের লাইনে এমনকি তার জামাইও কলকাতা পুলিশে কর্মরত।
advertisement
উত্তর ২৪ পরগনা অশোকনগরের বাড়িতে তিনি এবং তার ছেলে আকাশ এদিন প্রথম খবরটি পান। আর তারপর থেকেই আনন্দে মেতে উঠেছেন তারা। এই সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষিতীশ বাবু ছেলে আকাশকে জিজ্ঞেস করলে তার প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, সমস্ত ক্রেডিট তার মা-এর। তার মা যেভাবে সংসার সামলেছেন এবং বাবাকে উৎসাহ দিয়েছেন কাজের ক্ষেত্রে সেটাই এই সাফল্যের চাবিকাঠি। স্ত্রী অলোকা সরকারের কথায়, পারিবারিক ও পারিপার্শ্বিক সমস্যার কথা তিনি কখনও ক্ষিতীশ বাবুকে বলে চিন্তায় ফেলতে চাননি। সব সময় নিজের কর্ম জীবনে এগিয়ে যেতে বলেছেন এবং উৎসাহ দিয়েছেন। আজ তাই সরকারের পক্ষ থেকে এত বড় এচিভমেন্ট ক্ষিতীশ বাবুর কাধে। আগামী অক্টোবর মাসের ছুটিতে আসার কথা ক্ষিতীশ বাবুর। তখনই এই উপহারের আনন্দ ভাগ করে নেবেন পরিবারের সমস্ত সদস্যদের সঙ্গে এমনই আশা ক্ষিতীশ বাবুর স্ত্রী এবং তার পরিবারের।