TRENDING:

লকডাউনের জেরে ক্ষতির মুখে শান্তিপুরের বেতের ঝুড়ি বানানো কারিগরেরা

Last Updated:

দুবছর আগে ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে তা আজ ৪০ টাকাতেও নিতে চাইছেনা মহাজন

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#নদিয়া: করোনা আর লকডাউন শ্রমজীবী মানুষের জীবিকার উপর আঘাত হেনেছে সব থেকে বেশী। বিগত দু'বছর ধরে চলা কোভিড পরিস্থিতিতে সরকার নির্দেশিত লকডাউনের কারণে সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে শ্রমজীবী মানুষের। লকডাউন এর জেরে থমকে গিয়েছিল মানুষের কাজকর্ম। ক্ষতির মুখে পড়েছিল ছোট থেকে বড় সমস্ত ব্যবসায়ীরা। বন্ধ হয়ে গেছে একাধিক ক্ষুদ্র শিল্প। ঠিক তেমনি লকডাউনের জেরে লোকসানের মুখ দেখছে শান্তিপুরের বেতের ঝুড়ি বানানোর কারিগরেরা।
advertisement

শান্তিপুর ব্লকের বাবলা অঞ্চলের গোবিন্দপুর এলাকায় বেশকিছু মানুষ ঝুড়ি শিল্পের সাথে যুক্ত। তারা বাঁশ চিরে তার চাঁছাড়ি দিয়ে বানায় নানা রকমের ঝুড়ি। এই ঝুড়ির একটা বড়ো অংশ ব্যবহৃত হয় আমের সিজিনে আম বাগানে। আম চাষিরা আম উৎপাদনের পর এই ঝুড়িতেই আমদানি রপ্তানি করে বিভিন্ন জায়গায়। তাছাড়া হাঁস, মুরগীর খাঁচাও বানান তারা এই বাঁশের চাঁছাড়ি দিয়ে। গোবিন্দপুর এলাকার ঝুড়ি শিল্পের সাথে যুক্ত গণেশ দাস, অনিতা দাস, সুনীল দাস জন্ম থেকেই এই কাজের সাথে যুক্ত। তাদের পূর্ব পুরুষেরা এই একই কাজ করতেন। তাদের কথায় "এতবছর এই কাজ করছি, কখনও এইরকম আর্থিক সঙ্কটে দিন কাটেনি। যে ঝুড়ি বিগত দুবছর আগে ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে তা আজ ৪০ টাকাতেও নিতে চাইছেনা মহাজন। তাদেরও যে বিক্রি নেই, সে কারণেই মহাজন যে দাম দিচ্ছে তাতে বিক্রি করে বাঁশের দামও উঠছে না, মজুরী তো প্রশ্ন-ই নেই। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আর রেশনের চালে কোনো রকমে চলছে দিনযাপন।" যদিও শান্তিপুরের অধিকাংশ মানুষ তাঁতশিল্পের সাথে যুক্ত, তথাপি অনেক ছোটখাটো শিল্প ছড়িয়ে আছে, যার সাথে যুক্ত মানুষেরা এই মুহূর্তে তাঁত শিল্পীদের মতই সংকটাপন্ন।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/Local News/
লকডাউনের জেরে ক্ষতির মুখে শান্তিপুরের বেতের ঝুড়ি বানানো কারিগরেরা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল