সেদিনের শহীদের তালিকার সংখ্যাটা ১৩ থেকে ১৪ হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকত না।১৩ জন শহীদের সঙ্গে এসএসকেএম হাসপাতালের মর্গে নদিয়ার কল্যাণীর যুব কর্মী দীপক দাস কে রেখে দেওয়া হয়েছিল। অনান্য মৃতদের সঙ্গে তার অচৈতন্য দেহটিও পড়েছিল হাসপাতাল মর্গে। পুলিশের লাঠির আঘাতে আহত দীপককে রাস্তার উপর পড়ে থাকতে দেখে ভাবা হয়েছিল তারও মৃত্যু হয়েছে। অন্যান্য শহীদের দেহর সাথে মর্গে রাখা হয়েছিল তাকেও। কিন্তু মর্গের মৃতদেহর মধ্যে যে একজন তখনও জীবিত আছে তা অনুভব করতে পারেন এক চিকিৎসক। এরপর ওই চিকিৎসকের সহানুভূতির জেরেই হাসপাতালের একটি বেডে ভর্তি করে তার চিকিৎসা শুরু হয়। দীপক প্রাণে বেঁচে যান। আজও তিনি প্রতি বৎসর ২১ জুলাই এর অনুষ্ঠানে অংশ নেন। কিন্তু বর্তমানে কেমন আছেন কল্যাণীর বাসিন্দা বর্তমান তৃণমূল কর্মী দীপক দাস? তার খবর কি কেউ রেখেছেন দলের নেতৃত্ব? তৃণমূল সরকার পরপর তিন বার রাজ্যে ক্ষমতায়।
advertisement
রাজ্যজুড়ে অনেকের বেকারত্ব ঘুচেছে ঠিকই কিন্তু আজও দারিদ্রতা অর্থঅভাব নিয়েই বেঁচে থেকেও না বাঁচার মতো বেঁচে আছে কল্যাণীর দীপক। সেদিন যে নেত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে নিজের জীবন বিপন্ন করে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছিল আজ সেই দিদির সরকারের পক্ষ থেকে কোনরকম সহযোগীতা না পাওয়ায় আক্ষেপ চেপে রাখতে পারলেন না। কাঁদতে কাঁদতে শুধু একটা আর্জি জানিয়েছেন সেদিনের লড়াইয়ের নেত্রী তথা আজকের মুখ্যমন্ত্রীকে, \"এখনোও দিদির সাথেই আছি। দিদির দল করি। কিন্তু দল আমাকে কিছুই দিলনা।\"আমার বয়স শেষ তাই দীপকের কাতর আর্তি ও অনুরোধ, \"দিদি যেন আমার একটা ছেলেকে একটা কাজের ব্যাবস্হা করে দেয়। একই ভাবে দীপকের বৃদ্ধ বাবারও একই আর্জি দিদি যেন আমাদের একটু দেখেন।\"