স্বপ্নাদেশে বলা হয় নুপুরের শব্দ যেখানে গিয়ে বন্ধ হবে সেইখানে মায়ের মন্দির প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেই আদেশ অনুয়ায়ী সুচনা হয় এই কালি বাড়ির পূজোর। তবে লচি পোদ্দার নাম হয় লক্ষী নারায়ন দের নামের অংশ থেকেই। শোনা যায় লক্ষী থেকে লছমি আর লছমি থেকে লচি এবং তিনি পোদ্দারি করতেন, তার থেকে পূজোর নাম হয় লচি পোদ্দার কালি বাড়ির পূজো। পুজোতে হয় পরম্পরা অনুয়ায়ী বিভিন্ন সবজি বলি, দশমীর দিন থেকে সুচনা হয় পুজানুষ্ঠানের। এখনও প্রথা অনুযায়ী একটি অবিবাহিতা মেয়ের সারা বছরের ভোজনের পরিমাণ স্বরুপ ১০৮ কেজি চাল উৎসর্গ করা হয় ঠাকুরের উদ্দেশ্য।
advertisement
বংশানুক্রমে বর্তমানে এই পুজো করছেন বংশের ছয়জন উত্তরসূরী বা সেবাইত। পরিবারের অন্যতম সেবাইত অভিজিৎ দে জানান, পূজোর আচার নিয়মে কোনো পরিবর্তন হয়নি। তবে কোভিড বিধি নিষেধের জন্য কিছু অনুষ্ঠান কাট ছাট করতে হয়েছে। যেমন মেদিনীপুরে লচি পোদ্দার কালি বাড়ির পূজোর নিরঞ্জন দেখার জন্য মুখিয়ে থাকেন অসংখ্য মানুষ, কিন্তু কোভিড বিধিনিষেধের জন্য গত বছর থেকে বন্ধ করা হয়েছে পুরানো প্রথা অনুযায়ী গরুর গাড়িতে নিরঞ্জন। পূজোর একদিন আগে থেকেই পুজোকে ঘিরে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হতো, সেগুলো বন্ধ রাখতে হয়েছে। কিন্তু পূজোর নিয়মে কোনো পরিবর্তন করা হয়নি। তবে মন্ডপে প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে এবারও, মন্দিরের বাইরে লাগানো LED তেই দর্শন করতে হবে প্রতিমা।