জঙ্গলাকীর্ণ মালঞ্চের ওই অংশের প্রতিষ্ঠিত মন্দিরের পাশেই ছিল জমিদারদের আরও একটি বাড়ি। গোবিন্দরাম রায়ের উত্তরাধিকারী হিসেবে কালীগতি রায় পূজোর কাজ দেখাশোনা করতেন। কালীগতি ছিলেন নিঃসন্তান। তিনি মারা যাওয়ার পর মন্দিরের পুজো চালু থাকলেও রক্ষনাবেক্ষনের খরচ চালানোর উৎসাহ ছিল না কারো মধ্যে। তাই বর্তমানে একটি ট্রাস্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে । তখনকার দিনের জমিদার গোবিন্দ রাম রায় এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ডাকাত কালি অনেকেই বলে এই কালিকে। কিন্তু মা হচ্ছে দক্ষিণা কালী।
advertisement
এই মন্দিরের একটা ইতিহাস আছে, কথিত আছে, মারাঠা দস্যু, ভাস্কর পন্ডিত এই মন্দিরে আত্মগোপন করে থাকতেন। তখনকার মালঞ্চ আর এখনকার মালঞ্চের মধ্যে অনেক পার্থক্য। তখন এই এলাকায় জনবসতি গড়ে ওঠেনি, মালঞ্চ ছিল তখন জঙ্গলে ভর্তি এবং হিংস্র জীবজন্তুও এই জঙ্গলে থাকতো। ভাস্কর পন্ডিত ধরা না পড়ার জন্য এই মন্দির বেছে নিয়েছিলেন। সেই জন্য উনি এখানে আত্মগোপন করে থাকতেন। কোথাও বেরোনোর আগে এখানে পুজো দিয়ে বের হতেন। সেই থেকেই এই কালির নাম ডাকাত কালী। এখনও কিছু মানুষ ডাকাত কালী বলেই ডাকেন এই কালীকে।