কিন্তু মারণব্যাধি করোনা অতিমারীর প্রভাবে দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা লকডাউনের ফলে বর্তমানে প্রায় বন্ধ হতে বসেছে নবদ্বীপের ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন এই শিল্প। পাশাপাশি লকডাউনের ফলে গণপরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় স্বাভাবিকভাবেই বহিরাগত দর্শনার্থীরা আসতে পারছেন না মন্দির নগরীতে। ফলে কাজ না থাকায় কর্মহীন হয়ে পড়েছেন বহু মানুষ। কাঁসা পেতলের তৈরি জিনিসপত্রের চাহিদা কমতে শুরু করেছে খোলাবাজারে। যার কারণে প্রয়োজনের তুলনায় কম কাজ পাচ্ছেন এই শিল্পের সাথে জড়িত হস্ত শিল্পীরা। বর্তমানে ব্যবসার পরিস্থিতি খারাপ থাকায় ইতিমধ্যেই বহু মানুষ এই শিল্প থেকে সরে পেশা বদলাতেও বাধ্য হয়েছেন। সেই অর্থে এখনো পর্যন্ত প্রাচীন এই শিল্পের ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে সরকারের পক্ষ থেকে কোন সাহায্য বা আশ্বাসবাণী না পেলেও ভবিষ্যতে এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে যদি সরকার থেকে কোনরকম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে না দেয় তাহলে একটা সময় এই শিল্প সম্পূর্ণভাবে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাবে বলেই দাবি করেছেন স্থানীয় কাঁসা-পেতল শিল্পীরা।করোনা অতিমারি কাটিয়ে কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে সেই দিনের জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া এই মুহূর্তে তাদের আর কিছুই করার নেই বলে হতাশার সুরে জানিয়েছেন নবদ্বীপের কাঁসা পেতল শিল্পীরা।
advertisement