দ্বীপের বাগডাঙা এলাকার বাসিন্দা বছর আশির বিলাসিনী দেবীর তিন ছেলে। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে মেজ ছেলের কাছে থাকতেন তিনি। ইয়াসের পর হারিয়েছেন মাথা গোঁজার শেষ সম্বলটুকুও। কি ভাবে দিন কাটবে বুঝতেই পারছিলেন না তিনি। স্থানীয়দের মাধ্যমে সেই খবর গিয়ে পৌঁছয় নামখানার বিডিও শান্তনু সিংহ ঠাকুরের কাছে। সময় নষ্ট না করে, কিছু ত্রাণ সামগ্রী ও ত্রিপল নিয়ে দ্বীপের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। বাগডাঙা এলাকায় গিয়ে দেখেন বারান্দায় জরাজীর্ণ অবস্থায় বসে রয়েছেন বৃদ্ধা। বিডিও প্রথমে বৃদ্ধার সঙ্গে কিছুক্ষণ গল্প করেন। তারপর কর্মীদেরকে নিয়ে বৃদ্ধার বাড়ি মেরামতির কাজে হাত লাগান। বৃদ্ধা তখনও বুঝতে পারেন নি বছর আঠাশের এই যুবক আসলে কে! পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে বৃদ্ধা জানতে পারেন ওই যুবকটিই এলাকার বিডিও। যুবকের আসল পরিচয় জানতে পেরে মাথায় হাত দিয়ে আশীর্বাদ করেন বৃদ্ধা। আসলে বয়সে এত তরুণ বিডিওকে আগে কখনও দেখেন নি বৃদ্ধা৷ তিনি নিজেই যে বাড়ি মারামাতিতে হাত লাগাবেন তা ভেবেই উঠতে পারেন নি বিলাসিনী দেবী। তাঁর কথায়, \'বিডিও সাহেব নিজে আমার বাড়ি মেরামত করে দিয়েছেন। বয়সে আমার নাতির মতই তিনি। এই খারাপ সময়ে আমাদের মত অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। তাঁকে আশীর্বাদ করি তিনি আরও বড় হন।\' শান্তনু সিংহ ঠাকুর বলেন, \'স্কুলে পড়ার সময় থেকেই বাঁকুড়াতে অসহায় মানুষের জন্য সাধ্যমত কাজ করতাম। কিন্তু এখন বিডিও হওয়ার পর সরকারি সাহায্য নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরে আমি আনন্দিত৷\'
advertisement