মঙ্গলবার সকালে মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয় থেকে নির্দেশ আসা মাত্রই নড়েচড়ে বসে কল্যাণী প্রশাসন। তড়িঘড়ি মহকুমা শাসকের নেতৃত্বে কল্যাণী প্রশাসন ঘটনাস্থলে যায় এবং পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখেন। মহকুমা শাসকের তদন্তে উঠে আসলো কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কেউটে। একাধিক নাম জড়ালো স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বের। এই ঘটনা সামনে আসতেই রীতিমতো আতঙ্কিত এলাকার মানুষ।এদিকে স্থানীয় প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়, বিষয়টি তারা জানতেন না। বিষয়টা প্রশাসনের জানা থাকলে অবশ্যই অনেক আগেই বন্ধ হয়ে যেত মাটি কাটার কাজ। কিন্ত এলাকার মানুষের দাবি, প্রশাসনকে এর আগেও একাধিকবার জানানো হয়েছে প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
advertisement
স্বভাবতই স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন, প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মীর মদত রয়েছে মাটি মাফিয়াদের পিছনে।এমনকি একশ্রেণীর রাজনৈতিক নেতাদের ও এই সমস্ত মাফিয়াদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা রয়েছে বলেও অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা। তবে মহকুমা শাসকের কাজে অনেকটাই খুশি এলাকার মানুষ। এখন এলাকার মানুষ তাকিয়ে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করেন প্রশাসন এই মাটি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে। তবে এরপরও যদি দিনের-পর-দিন দরিদ্র চাষীদের জমি একের পর এক মাটি মাফিয়ারা গ্রাস করে নেয় তাহলে চাষের জমির ব্যাপক ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা সকলের। এই অবস্থায় দরিদ্র পরিবারগুলো এখন তাকিয়ে রয়েছে প্রশাসনের দিকে।