গত ২৬ মে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আছড়ে পড়ে পশ্চিমবঙ্গের খুব কাছেই ওড়িশা উপকূলে। ইয়াসের প্রকোপে তীব্র জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয় সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চল ও নদী তীরবর্তী অঞ্চল। সমুদ্র নদী বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় প্রচুর মানুষ ঘর ছাড়া হয়েছিল। নদী ও সমুদ্র বাঁধ মিলিয়ে প্রায় ৫৭ জায়গায় ভেঙে যায়। এখনো জল নামলে কোথাও কাদা। মানুষ নিরুপায় হয়ে বাস করছে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র গুলিতে। তার ওপর নিম্নচাপের কারণে গত এক সপ্তাহ ধরে চলছে প্রবল বৃষ্টিপাত। বাড়ছে নদীর জল স্তর। সামনেই আবার পূর্ণিমার ভরা কোটাল সবমিলিয়ে আতঙ্কে নদী তীরবর্তী ও সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষেরা
advertisement
পূর্ব মেদিনীপুর জুড়ে বহু জায়গায় নদী বাঁধ ও সমুদ্র বাঁধ ভেঙে যায়। বাঁধগুলির মেরামতের কাজ করছে সেচদপ্তর। সেচ দপ্তরের তদারকিতে ঠিকাদারি সংস্থার মাধ্যমে শুরু হয়েছে বাঁধ মেরামতের কাজ। কাজ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছে ঠিকেদারি সংস্থার শ্রমিকেরা। গত এক সপ্তাহ ধরে নিম্নচাপের বৃষ্টির প্রভাবে ব্যাহত হয়েছে বাঁধ মেরামতের কাজ কর্ম। বৃহস্পতিবার পূর্ণিমার কোটাল এর আগে শেষ হবে না বাঁধের কাজ। জেলার সদর শহর তমলুকের বেশ কিছু ওয়ার্ড ইয়াসের প্রভাবে জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল। তমলুক স্টিমারঘাট এ শুরু হয়েছে নদী বাঁধ মেরামতের কাজ। কিন্তু তা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে। ২৬ জুন বৃহস্পতিবার পূর্ণিমা কোটালে জোয়ারে জলমগ্ন হওয়ার আশঙ্কা করছে তমলুক শহরের বাসিন্দা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সমুদ্র উপকূলবর্তী ও নদী তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষেরা।