এর উপরে নির্ভর করেই আমাদের কামশক্তি বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তিত হয়। কমে যায় যৌন ক্ষমতাও। ২৯-৩০ বছর বয়স পর্যন্ত এই বিষয়টি ততটা প্রকটভাবে লক্ষ্য করা না গেলেও হরমোনের পরিবর্তন, গর্ভাবস্থা এবং পারিবারিক দায়িত্ব বৃদ্ধির ফলে আমাদের জীবনে বছর ৪০ থেকে এই বিষয়টি আরও প্রকট হয়ে ওঠে।
কিছু জৈবিক এবং মনস্তাত্ত্বিক বিষয় এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই কারণগুলি নির্ধারণ করে যে আমাদের যৌন ক্ষমতা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক না কি শ্বাসরোধকারী অর্থাৎ আমাদের ইচ্ছা বা চাহিদার বিরুদ্ধে। অবশ্যই, মানসিক চাপ সব চেয়ে বড় কারণ যৌন ক্ষমতা নষ্ট হওয়ার। দুশ্চিন্তা এবং বিষণ্ণতা আমাদের যৌন আকাঙ্ক্ষাও দূর করতে পারে। আমাদের জীবনধারা এবং স্বাস্থ্যকর অভ্যাস, যেমন একটি সুষম খাদ্য খাওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম করা এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া, সেক্স করার জন্য আমাদের মেজাজকেও প্রভাবিত করে।
advertisement
বছর ২০-র যৌন জীবন
বয়স বছর ২০ নাগাদ যে বিষয়গুলি লক্ষ্য করা যায় তা হল টেস্টোস্টেরন, একটি হরমোন যা পুরুষদের যৌন উত্তেজনার বা চাহিদার জন্য প্রয়োজন, তা তুঙ্গে থাকে। কিন্তু এই বয়সে অনভিজ্ঞতার কারণে আমরা অনেকেই যৌন সম্পর্ক নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি। যে কারণে এই বয়সটায় প্রায় ৮ শতাংশ পুরুষরা ইরেকটাইল ডিজফাংশন (ED)-এ ভোগে। এই অবস্থায় মানসিক স্বাস্থ্য বিঘ্নিত হয় এবং হৃদরোগের ঝুঁকিও থাকে অনেকক্ষেত্রে। ২১ থেকে ২৮ এই বয়সে সমস্যা অনেকটা হ্রাস পায়। এই সময়ে নতুন সম্পর্ক তৈরি হয় এবং শারীরিক দিক থেকেও বেশ শক্তিশালী হয়ে ওঠে পুরুষরা।
বছর ৩০-এর যৌন জীবন
৩০ বছরে বহু পুরুষই এই সময় জোরালো যৌন সম্পর্ক চালিয়ে যান। যদিও টেস্টোস্টেরন হরমোন ৩৫ বছর নাগাদ আস্তে আস্তে কমে যায়। এটি সাধারণত প্রতি বছর প্রায় ১% হারে কমে যায়, কিন্তু কিছু পুরুষের জন্য এটি দ্রুততর হতে পারে। এটি আমাদের সেক্স লাইফে কিছুটা প্রভাব ফেলতে পারে। তবে ৩০ বছর নাগাদ শারীরিক ঘনিষ্ঠতার আকাঙ্ক্ষা কমে যায়। কেন না, প্রথমত, এই পর্যায়ে টেস্টোস্টেরন কমে যাচ্ছে। তবে সন্তান জন্মের ক্ষেত্রে এটিই আদর্শ সময়। পারিবারিক দায়িত্ববোধ, কাজের চাপ অনেক ক্ষেত্রেই পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটায়।
বছর ৪০ বা এর উপরে যৌন জীবন
বছর ৪০-এর পুরুষদের ক্ষেত্রে অনেকেরই ধারণা বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের যৌন জীবন উপভোগ করা উচিত নয়। এমন কোনও কারণ কিন্তু নেই। এই বয়সে ইরেকটাইল ডিজফাংশন আরও সাধারণ বিষয় হয়ে ওঠে। কিন্তু এই বয়সে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা যা বয়সের সঙ্গে আরও সাধারণত প্রকট হতে থাকে, যেমন হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চ কোলেস্টেরল, স্থূলতা, এবং তাদের চিকিৎসার ওষুধ চলতে থাকে।
এই বয়সে মহিলারা মেনোপজে প্রবেশ করেন, মেনোপজের আগে ডিম্বাশয় ধীরে ধীরে ইস্ট্রোজেন উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। সেই সময়ে ওঠানামা করা হরমোনগুলি আমাদের সেক্স লাইফ, মেজাজ ছাড়াও যৌনতার অনুভূতিকেও প্রভাবিত করতে পারে। ফলে এই সময়টা মহিলারা বহু ক্ষেত্রে ডিপ্রেশনে ভুগতে থাকেন। তবে অনেকেই আবার জীবনের এই সময়টাকে অসম্ভব ভালো ভাবে উপভোগ করেন। তবে সুস্থ জীবনের জন্য আসঙ্গীকে তাঁদের চাহিদা এবং ইচ্ছা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা উচিত যা আমাদের যৌনতায় আগ্রহী রাখতে সাহায্য করতে পারে।