এই জায়গায় এসে, সদ্য় আবিষ্কৃত যন্ত্রটা সম্পর্কে তথ্য পাওয়ার পরেই চোখ কপালে ওঠে! কেন না, এতক্ষণে আর কিছু হোক আর না-ই হোক, এটুকু অন্তত স্পষ্ট যে ফ্রিজ বলতে আমরা যা বুঝি, এ সে জিনিস নয়। কেন না, কাজে আসতে হলে তা ছোট নয়, বরং বড় হওয়াই বাঞ্ছনীয়। তার প্রধান লেখক, ক্রিস রেগান বলেছেন যে তারা বিশ্বের সব চেয়ে ছোট রেফ্রিজারেটর তৈরি করেছেন। পাশাপাশি আরও একটু ব্যাখ্যা করে বলছেন রেগান, জিনিসটা কিন্তু ডিম এবং দুধ সংরক্ষণের জন্য আপনার নিয়মিত রেফ্রিজারেটর মতো নয়। ক্ষুদ্রতর ডিভাইজগুলির চেয়েও ক্ষুদ্র এই যন্ত্র কম্পিউটারের অভ্যন্তর ভাগ শীতল এবং ফাইবার-অপটিক নেটওয়ার্কগুলিকে থার্মোরেগুলেট করার জন্য এক আকারের প্রোটোটাইপ।
advertisement
এই প্রসঙ্গে এ বার থার্মোইলেক্ট্রিক ডিভাইস কী, সেটাও বুঝিয়ে দিয়েছেন রেগান। একটি থার্মোইলেক্ট্রিক ডিভাইস দু'টি পৃথক অর্ধপরিবাহী এবং ধাতব প্লেটের মধ্যে বসানো এক যন্ত্র। এগুলি এক দিকে শীতল থাকতে পারে, আবার অন্য দিকে গরম থাকতে পারে। এ হেন অবস্থায় তাপমাত্রার পার্থক্য-সহ বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে যন্ত্রগুলো। নাসার ভয়েজার অন্তরীক্ষযানেও একই রকম একটি যন্ত্র আছে। ভবিষ্যতে এটি গাড়ি ও বাতানুকূল যন্ত্রে ব্যবহৃত হতে পারে।
এ বার বরং দেখে নেওয়া যাক কী ভাবে কাজ করবে এই যন্ত্রটি। কম্পিউটারকে শীতল এবং ফাইবার-অপটিক নেটওয়ার্কগুলিকে থার্মোরেগুলেট করার সুবিধার্থে এক দিকে বৈদ্যুতিক প্রবাহ সরবরাহ করা হলে এর দুই দিক যথাক্রমে গরম এবং ঠান্ডা হয়ে যায়। সহজেই তখন তাকে কুলার বা এমনকি একটি রেফ্রিজারেটর হিসাবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।