আরও পড়ুন- আপনার সন্তান স্কুল-কলেজে বুলিংয়ের শিকার? ভেঙে পড়া নয়, শেখান প্রতিরোধের এই কৌশল
অটিজম কী?
অটিজম রোগ অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার (ASD) নামেও পরিচিত। এটি একটি নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার (autism spectrum disorder) যা সামাজিকীকরণ এবং যোগাযোগ করার ক্ষমতা সহ অনেক মৌলিক দক্ষতা এবং কর্মক্ষমতার বিকাশকে প্রভাবিত করে। সাধারণত ৩ বছর বয়সের আগেই এই রোগ (World Autism Awareness Day) প্রকাশ পায় কিন্তু সারাজীবন ধরেই এই সমস্যাকে বহন করতে হয়।
advertisement
গবেষণা বলছে, পরিবেশের প্রভাবের পাশাপাশি জিন শিশুর বৃদ্ধিকে এমনভাবে প্রভাবিত করতে পারে যাতে ASD দেখা দিতে পারে। সময়ের আগেই শিশুর জন্ম, পারিবারিক ইতিহাস, বাবা মায়ের বয়স বেশি হওয়ার কারণগুলিও রয়েছে এই রোগের নেপথ্যে।
লক্ষণ
সামাজিক যোগাযোগ স্থাপনে অসুবিধা হয় শিশুদের এবং মুখের অভিব্যক্তির অভাব, চোখের যোগাযোগের অভাব, ডাকার পরে উত্তর দিতে দেরি হওয়া এবং অস্বাভাবিক সুরে কথা বলা। চলন্ত বস্তু বা বস্তুর কোনও অংশে মনোনিবেশ করাতে সমস্যা দেখা দেয়, রুটিন বা সময়সূচিতে সামান্য পরিবর্তন হলেই অনভ্যাসের জেরে বিরক্তি এবং নতুন পরিবেশে সামঞ্জস্য রক্ষার ক্ষেত্রে জটিলতার সম্মুখীন হয় শিশুরা।
আরও পড়ুন- সকাল শুরু হোক এক কাপ গাঁজা চায়ে! বাড়িতেই কীভাবে তৈরি করবেন এই চা দেখে নিন ছবিতে
চিকিৎসা
এই রোগের (World Autism Awareness Day) চিকিৎসার বিষয়টি এখনও ধোঁয়াশায়। চিকিৎসকদের একাংশ বলেন যে অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডারের কোনও স্থায়ী সমাধান নেই। অনেকেই এটাও বলেন সকলের ক্ষেত্রেই যে একরকমের প্রতিকার কাজে আসবে এমন কথাও নেই। চিকিত্সার উদ্দেশ্য হল অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডারের লক্ষণগুলি হ্রাস করা এবং শিশুর কাজ করার ক্ষমতাকে আরও উন্নত করা।
বিদ্যালয়ের পড়াশোনার শুরুর দিক থেকে বিষয়টির যত্ন নিলে আপনার শিশু সামাজিক, যোগাযোগ বাড়ানোর, কার্যকরী এবং আচরণগত নানান দক্ষতা শিখতে শুরু করে।
অটিজমের চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে ওষুধ, আচরণগত শিক্ষা এবং মনস্তাত্বিক পদ্ধতি যেমন সামাজিক যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি, ইতিবাচক আচরণ এবং কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি।