ভারতের লক্ষ্য ২০২৪ সালের মধ্যে দেশে এডস রোগের নির্মূলসাধন
ভারত সরকারের লক্ষ্য হল ২০২৪ সালের মধ্যে দেশে সম্পূর্ণরূপে এইডস রোগের বিনাশ করা। এর জন্য সরকারের তরফে তৈরি করা হয়েছে ন্যাশনাল এডস কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (NACO)। এ ছাড়াও এইডস রোগের বিনাশের জন্য বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থা, জনপ্রিয় ব্যক্তি, হেলথ ওয়ার্কার এবং সাধারন মানুষের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। এইডস রোগ হয় এইচআইভি-র (HIV) কারণে। এই রোগের কারণে শরীরের ইমিউন পাওয়ার নষ্ট হয়ে যায়, এর ফলে রোগের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি হারিয়ে যায়। এর ফলে কোনও ব্যক্তি খুব সহজেই অন্যান্য রোগের দ্বারা কাবু হয়ে পড়ে। কিন্তু কয়েকটি সহজ-সরল উপায় অবলম্বন করে এই সর্বনাশা ব্যাধির কবল থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
advertisement
আরও পড়ুন- ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’! এ রাজ্যে এর কী প্রভাব পড়বে ?
গর্ভাবস্থা
এইচআইভি সংক্রমিত গর্ভবতী মহিলার থেকে তাঁর সন্তানের এইচআইভি সংক্রমণ হতে পারে। এছাড়াও এইচআইভি সংক্রমিত মহিলার থেকে তাঁর সন্তান স্তন্যপান করলেও এইচআইভি সংক্রমণ হতে পারে। কিন্তু সেই এইচআইভি সংক্রমিত মহিলা যদি উপযুক্ত মেডিসিন খেতে থাকেন, তাহলে সংক্রমণের ভয় কিছুটা হলেও কম থাকে।
রক্তদানের সময় সুরক্ষা
রক্তদানের আগে রক্তগ্রহিতার রক্তের এনএটি পরীক্ষা করে নেওয়া দরকার। এটি পরীক্ষা করে তার পর রক্ত দিলে এইচআইভি সংক্রমণের ভয় কম থাকে। এটি একটি বড় ধরনের সুরক্ষার বিষয়। এভাবে এইচআইভি সংক্রমণ থেকে বাঁচা সম্ভব।
শরীরের ফ্লুইড থেকে সুরক্ষা
অন্য যে কোনও ব্যাক্তির শরীরের রক্ত এবং ফ্লুইড থেকে সুরক্ষিত থাকা দরকার। যদি এভাবে অন্য ব্যক্তির শরীরের সংস্পর্শ হয়, তাহলে দেরি না করে সেই জায়গা ধুয়ে ফেলা দরকার। এর ফলে এইচআইভি সংক্রমণের সম্ভাবনা অনেকটাই কম হয়। এভাবে এইচআইভি সংক্রমণ থেকে বাঁচা সম্ভব।
আরও পড়ুন- ওজন কমাতে এই পানীয়গুলো আদৌ পর্যাপ্ত? না কি ফল হচ্ছে উল্টো?
এইচআইভি-র চিকিৎসা
এডস রোগের না কোনও চিকিৎসা রয়েছে এবং এই রোগের কোনও ভ্যাকসিন এখনও তৈরি হয়নি। এইডস রোগের থেকে বাঁচার একটাই উপায় নিজেকে সুরক্ষিত রাখা। এই রোগের থেকে বাঁচার জন্য সব সময়ে সুরক্ষিত যৌন সম্পর্ক করা উচিত।