যদিও আধুনিক চিকিৎসায় পিল এবং কিছু পদ্ধতি বেশি ব্যবহার করা হয়। আজকাল বহু সংখ্যক নারী এই প্রশ্ন করে থাকেন যে, কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই সুস্থ থাকার জন্য কি আরও মৃদু এবং প্রাকৃতিক উপায় রয়েছে?
আর বেশিরভাগ মহিলার এই প্রশ্নের উত্তরটা লুকিয়ে রয়েছে হোমিওপ্যাথিতেই। প্রাচীন কালের এই চিকিৎসা ব্যবস্থা শুধুমাত্র উপসর্গকেই খর্ব করে না, বরং সেই সঙ্গে উপসর্গটা ভাল ভাবে বুঝতেও সক্ষম। এটা দেহের সিগন্যালকে বোঝে। এরপর ব্যালেন্স রেস্টোর করার জন্য ভিতর থেকে কাজ করে। বেশিরভাগ কমবয়সী মহিলা অনিয়নিত পিরিয়ডস, অতিরিক্ত ব্লিডিং, মুড স্যুইং অথবা বেদনাদায়ক ক্র্যাম্পের সমস্যার সম্মুখীন হন। কারও কারও আবার এই সময় প্রচণ্ড মাথা ব্যথা, পিঠে ব্যথা হয়, এমনকী তাঁরা মানসিক ভাবেও স্তিমিত থাকেন। এই পরিস্থিতিতে সকল প্রকার উপসর্গের জন্য একই ওষুধ প্রেসক্রাইব করে না হোমিওপ্যাথি। প্রত্যেক মহিলার উপসর্গ পর্যালোচনা করে তার ওষুধ দেওয়া হয়। আরও একটি সাধারণ সমস্যা হল পিসিওএস। এক্ষেত্রেও সহায়ক হতে পারে হোমিওপ্যাথি। কারণ এই পদ্ধতির ওষুধের মাধ্যমে প্রাকৃতিক ভাবে হরমোনকে ব্যালেন্স করা হয়। অনিয়মিত পিরিয়ডসের সমস্যা স্বাভাবিক ছন্দে ফেরে। এর জন্য কিন্তু শক্তিশালী হরমোন পিল ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় না।
advertisement
ফার্টিলিটির সমস্যাতেও সহায়ক:
যাঁরা সন্তানধারণের চেষ্টা করেও পারছেন না, তাঁদের জন্য বিষয়টা খুবই বেদনাদায়ক। বেশিরভাগ মহিলাই এই সমস্যার মধ্যে দিয়ে যান। হোমিওপ্যাথি এক এক জনের সমস্যা অনুযায়ী চিকিৎসা করে। শারীরিক এবং মানসিক উপসর্গের উপর ভিত্তি করে ওষুধ দেওয়া হয়। আর হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা করানোর পর মহিলাদের উপসর্গগুলি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে। এমনকী যাঁরা আইইউআই অথবা আইভিএফ করাচ্ছেন, তাঁদের জন্য হোমিওপ্যাথি সহায়ক হতে পারে। কারণ মানসিক স্থিতি বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং ফার্টিলিটির শক্তিশালী ওষুধের প্রভাব কমাতেও তা সহায়ক।
যে বিষয়টা মাথায় রাখা উচিত:
একজন কোয়ালিফায়েড এবং অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হোমিউপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শেই হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। নিজে নিজে ওষুধ খেলে বা চিকিৎসা করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। কারণ এই চিকিৎসা পদ্ধতি যে কোনও সমস্যা সমূলে উৎপাটন করে। তাই ধৈর্য, সময় এবং ধারাবাহিকতা বজায় রাখা আবশ্যক।