ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নাল কেস রিপোর্ট-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, ওই মহিলা রেক্টাল ক্যানসারে আক্রান্ত। ১৪ মাস আগে তাঁর শুশ্রূষা শুরু হয়েছে জাপানে। কেমোথেরাপির যন্ত্রণা কমাতে ষাটোর্ধ্ব ওই মহিলা মিনোসায়াক্লিন নেন। প্রসঙ্গত অ্যাকনে থেকে নিউমোনিয়া-সব কিছু উপশমে কার্যকরী এই মিনোসায়াক্লিন।
ডাক্তাররা জানিয়েছেন তাঁকে রোজ ১০০ মিলিগ্রাম করে মিনোসায়াক্লিন দেওয়া হচ্ছিল। এই ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই তাঁর জিভে হাইপারপিগমেন্টেশন সমস্যা দেখা দেয়। জিভে চুল গজায়। ডাক্তারিশাস্ত্রের পরিভাষায় এই সমস্যার নাম ব্ল্যাক হেয়ারি টাঙ বা বিএইচটি।
advertisement
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, রোগিণীর মুখও তার স্বাভাবিক বর্ণ হারিয়ে ধূসর হয়ে যায়। তবে তাঁর মুখের ভিতরে তাকিয়ে ডাক্তারদেরও চক্ষু চড়কগাছ! দেখা যায়, তাঁর জিভে গালিচার মতো আস্তরণ। সেখানে চুলের প্রলেপ। ডাক্তাররা জানাচ্ছেন এগুলি প্রকৃত চুল নয়। বাদামি ও কালো রঙের চুলের মতো দেখতে টেস্টবাড বা স্বাদকোরক।
এই উপসর্গ দেখার পর ডাক্তাররা মিনোসায়ক্লিন ওষুধ বন্ধ করে দেন। এর পর ধীরে ধীরে ত্বকের পিগমেন্টেশন এবং বিএইচটি বা ব্ল্যাক হেয়ারি টাঙের সমস্যা নিয়ন্ত্রিত হয়।