আরও পড়ুন: Summer Tips: গরমে মেক-আপ করেও দিব্যি হয়ে ওঠা যায় বোল্ড এবং স্টাইলিশ, রইল নজরকাড়া লুকের টিপস!
লেবু:
অনেকে সকালে উঠেই লেবু-জল খেতে পছন্দ করেন। আবার অনেকেই সকালে উঠে লেবু-চা খেয়ে দিনটা শুরু করেন। কারণ মনে করা হয় যে, চায়ের মধ্যে লেবু মিশিয়ে খেলে ক্যালোরি ঝরে এবং পেটেরও মেদও কমে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অভ্যেসের কারণে অম্বল বা অ্যাসিডিটি, পাকস্থলীতে আলসার এবং পেট ফাঁপা ও পেটে অস্বস্তির মতো সমস্যা হতে পারে। কারণ চা-পাতার সঙ্গে সাইট্রিক অ্যাসিডযুক্ত লেবুর রস মেশালে অস্বস্তি তৈরি হতে পারে।
advertisement
দুধ:
চা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের দারুণ উৎস। তাই দুধ ও চিনি ছাড়া কালো চা খাওয়াই সবথেকে ভালো। এতে উপকারও পাওয়া যায় দারুণ। আসলে চায়ের মধ্যে দুধ ও চিনি মেশালে সেটি আর স্বাস্থ্যকর পানীয় থাকে না। এতে চায়ের মধ্যে ফ্যাট ও কার্বোহাইড্রেট যোগ হয়ে যায়।
বাদাম:
বেশির ভাগ স্বাস্থ্যসচেতন মানুষ চায়ের সঙ্গে স্ন্যাকস হিসাবে বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবার খেয়ে থাকেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে, চায়ের সঙ্গে বাদাম মোটেও ভালো খাবার নয় এবং এটা স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। আসলে বাদামের থেকে পুষ্টি উপাদান বা নিউট্রিয়েন্ট শোষণ করে শরীর। কিন্তু চায়ের সঙ্গে বাদাম খেলে চায়ের মধ্যে থাকা ট্যানিন (Tannin) নামের উপাদান এই নিউট্রিয়েন্ট শোষণের প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়। তাই বাদামের উপকারিতা পেতে হলে চায়ের সঙ্গে এটি খাওয়া চলবে না।
আরও পড়ুন: Weight Loss: খেয়ে যান হাত খুলে! ওজন বৃদ্ধির তোয়াক্কা না-করেই যত খুশি খাওয়া যেতে পারে এই সব খাবার!
বেসনের স্ন্যাকস বা পকোড়া:
চায়ের সঙ্গে গরম পকোড়া খেতে কে না-ভালোবাসে! কিন্তু বেসনের তৈরি কোনও স্ন্যাকসের সঙ্গে চা খাওয়া একেবারেই স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো নয়! ছাঁকা তেলে ভাজা বেসনের স্ন্যাকসের সঙ্গে চা খেলে বুক জ্বালা, পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং অম্বলের মতো নানাবিধ সমস্যা দেখা দিতে পারে।
মেলন বা তরমুজ জাতীয় ফল:
মেলন (Melon) অথবা যেসব ফলে জলের উপাদান বেশি, সেই সব ফল গ্রীষ্মকালের জন্য দারুণ। কিন্তু চায়ের সঙ্গে কিংবা চা খাওয়ার ঠিক পরে এই জাতীয় ফল খেলে পাকস্থলীতে তার ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। মেলন বা তরমুজ জাতীয় ফলের মধ্যে জলের উপাদান বেশি থাকায় এটি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। তবে এই জলীয় ফল ক্যাফিনযুক্ত চা অথবা পানীয়ের সঙ্গে কখনওই খাওয়া উচিত নয়।