ডেনিমের পুনরুজ্জীবন ফ্যাশন জগতে ঘটে যাওয়া সেরা জিনিসগুলির মধ্যে একটি। ডেনিম সবচেয়ে জনপ্রিয় কাপড়গুলোর মধ্যে একটি। ডেনিম জ্যাকেট হোক বা শার্ট, সেরা দেখাতে ডেনিমের জুড়ি মেল ভার। জিন্স তো প্রত্যেকের পছন্দের পোশাক। আরামদায়ক মাপের এক জোড়া ডেনিম জিন্স যে কারও জীবনকে মসৃণ করতে পারে। তবে এবার শীতে ডেনিম পরা যাক একটু অন্য কায়দায়।
advertisement
ডেনিম স্যুট
ইতিহাসের শুরু থেকে কতবার যে ডেনিম স্যুটের প্রত্যাবর্তন ঘোষণা করা হয়েছে তার সংখ্যা হাতে গুণে শেষ করা যাবে না। এক বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ফ্যাশন দুনিয়ায় কড়া নাড়ে ডেনিম স্যুট। এটি স্পষ্ট যে, ২০২৩ সালে আরও একবার ডেনিম স্যুট ওয়ার্ড্রোবের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠতে চলেছে। এই বছর অনেক ফ্যাশন ডিজাইনার ডেনিম স্যুটগুলিকে আবার নিজেদের সংগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রেখেছিলেন। তাঁরা ডেনিম স্যুট দেখিয়েছেন ফ্যাশন শোয়ের একদম শেষ রাউন্ডে। তবে একটু পরিবর্তন এই বছর দেখা যেতে পারে। এটুকু নিসন্দেহে বলা যায় যে, এই বছর থেকে স্যুটগুলির আকার আরও বৃদ্ধি পাবে। একটু ঢিলেঢালা মাপের ডেনিম ব্লেজার আর সাদামাটা প্যান্ট হলেই রাজত্ব করা যাবে ফ্যাশন দুনিয়ায়।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে পুরুষদের চুলের ছাঁট কেমন হবে? দেখে নিলে সবাই ফিরে ফিরে দেখবে!
তাছাড়া, ডেনিমের উপর ডেনিম সবচেয়ে বোল্ড ফ্যাশন স্টেটমেন্ট। একটি সাধারণ সাদা বা কালো শার্ট এবং এটির উপরে একটি ডেনিম জ্যাকেট আর নিম্নাঙ্গের জন্য ডেনিম জিন্স- এই যথেষ্ট। তবে মনে রাখতে হবে যে, জিন্স এবং জ্যাকেটের ডেনিম যেন সেটের মতো হয় অর্থাৎ দুটোর টেক্সচার এবং রঙ একই হওয়া উচিত।
কাজের পোশাক
স্যুট তো আপামর জনগণ চব্বিশ ঘণ্টা পরে থাকতে পারবে না। তাই এটা ধরে নেওয়া যায় যে, কার্যকরী কাজের পোশাক বা ফ্যাশন জগতে যাকে বলে ইউটিলিটি পোশাক, সেটা ওয়ার্ড্রোবে জায়গা করে নেবে। কমনীয়তা এবং আরামের মিশেল সবসময় লোভনীয়। এই বছরেও তার ব্যতিক্রম ঘটবে না। যেমন, একই রঙের ডেনিম শার্ট আর জিন্স- আর এই প্রবণতাটি অবহেলা করা অসম্ভব।
আরও পড়ুন: 'ওঁর কথায় কেউ আস্থা রাখে? বিশ্বাস করে?', বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ, নিশানা করলেন কাকে?
হালকা ধোয়া জিনস
হালকা ধোয়া বা মাইল্ড ওয়াশড জিন্স সারা বছরই পরা যায়। এগুলো সবসময় ফ্যাশানে থাকে কারণ মাইল্ড ওয়াশড জিন্সের সঙ্গে যে কোনও মজাদার টি-শার্ট পরে নেওয়া যায়। লোগো, পোস্টার এবং কোটেশন দেওয়া টি-শার্টগুলির সঙ্গে হালকা-ধোয়া জিন্স, রবিবারের সকালে এর বেশি কিছু লাগবে না।
স্কিনি জিন্স
নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে, স্কিনি বা একদম শরীরের সঙ্গে লেগে থাকা জিন্স শরীরের নিম্ন অংশের আর শরীরের সকল ভাঁজকে সদর্পে জানান দেবে। আসলে শরীর না দেখিয়েও শরীর দেখাতে স্কিনি জিন্সের বিকল্প খুঁজে পাওয়া যাবে না। এগুলো লো-রাইজ, মিড-রাইজ এবং হাই-রাইজ কাটে পাওয়া যায়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, পাতলা শরীর এবং আকর্ষণীয় পায়ের মহিলাদের শরীরের সঙ্গে লেগে থাকা জিন্স পরা উচিত। তবে পিয়ার বা নাশপাতি আকৃতির দেহের লোকদের এই জিন্স পরা এড়িয়ে চলা উচিত। শুধু চটকদার স্কিনি জিন্সের সঙ্গে শরীরের উপরের অংশকে দেখানোর মতো একটা পোশাক বেছে নিতে হবে। এই শীতে উলের ব্লাউজ আর তার সঙ্গে হিল, চেহারাকে সদর্পে প্রকাশ করবে। এটিকে গ্রাফিক টি-শার্ট এবং বুটের সঙ্গেও পরা যেতে পারে। তাছাড়া, স্কিনি জিন্সের সাথে টার্টল নেক ব্লাউজ এবং একটি ব্লেজারও দুর্দান্ত দেখাবে।
বয়ফ্রেন্ড জিন্স
বয়ফ্রেন্ড জিন্স পরতে সবচেয়ে আরামদায়ক। বিভিন্ন ধরনের বয়ফ্রেন্ড জিন্স পাওয়া যায়। বয়ফ্রেন্ড জিন্স আসলে কোমর এবং নিতম্বের চারপাশে ভাল ভাবে ফিট হয়। তাই এটি সাজকে সপ্তাহ শেষের ছুটি থেকে বিমানবন্দরের পোশাকের জন্য আদর্শ করে তোলে। এই জিন্স আপেল আকৃতির মহিলাদের জন্য উপযুক্ত। যাঁদের বয়স কম এবং পাতলা গড়নের তাদেঁর বয়ফ্রেন্ড জিন্স পরা এড়িয়ে চলা উচিত। বয়ফ্রেন্ড জিন্স সাদা ভি-নেক টপ, ক্রপ টপ এবং এমনকী ডেনিম শার্টের সঙ্গেও ভাল যায়। চেহারা সম্পূর্ণ করতে স্টিলেটো বা স্নিকার্স পরলেই যথেষ্ট।
ফ্লেয়ার জিন্স
ফ্লেয়ার জিন্স হল একটি আড়ম্বরপূর্ণ পোশাক যা চেহারাকে মুহূর্তে পাল্টে দিতে পারে। এটি সব ধরনের শরীরের উপরই দুর্দান্ত দেখায়। ফ্লেয়ার জিন্স, বেল-বটম জিন্স নামেও পরিচিত। এই ধরনের জিন্সের জনপ্রিয়তা ১৯৭০-এর দশকে তুঙ্গে উঠেছিল। আবার এখন ফিরে এসেছে। এই জিন্সগুলিকে একটি শার্ট, প্রিন্টেড স্কার্ফ, প্ল্যাটফর্ম শু, একটি ওভারকোটের সঙ্গে পরলে ভাল দেখায়। আর ভিনটেজ লুকের জন্য ক্রস-বডি ব্যাগ তো চাই ই চাই। তবে একটি সাধারণ সাদা শার্ট এবং স্টিলেটোর সঙ্গেও পরা যেতে পারে।