তবে ঋতু পরিবর্তনের কারণে হাঁপানিতে আক্রান্ত ব্যক্তিরা যদি তাঁদের জীবনযাত্রা এবং আবহাওয়া অনুযায়ী খাদ্যাভ্যাসের যথাযথ যত্ন নেন, তাহলে হাঁপানি নিয়ন্ত্রণ করা খুব একটা কঠিন কাজ নয় বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।
কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলে অ্যাজমাজনিত সমস্যা থেকে রোগীদের মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানালেন ডা. মিনিগা শ্রীনিবাস। অ্যাজমার সমস্যা ঠাণ্ডা ঋতুতে আসা যে কোনও মরশুমি রোগের চেয়েও বেশি ভয়ঙ্কর। ঠাণ্ডা ঋতুতে, বিশেষ করে যদি কাশি, সর্দি এবং জ্বরের মতো মৌসুমি রোগ হয়, তবে প্রথম পর্যায়ে ডলো ৬৫০, প্যারাসিটামল, অ্যাজিট্রো মাইসিন, ওকেসেট কোল্ড বা চেস্টান কোল্ডের মতো ট্যাবলেট সেবন করে কিছুটা উপশম পাওয়া যায়।
advertisement
আরও পড়ুন: ঠিক রাত বারোটা, এল একটি ফোন, বদলে গেল সব! হঠাৎ কার ‘কথায়’ গ্রেফতার জ্যোতিপ্রিয়?
ভাইরাল রোগ যদি অত্যধিক সমস্যা তৈরি করে তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভাল। তবে এইসবের মধ্যে হাঁপানি সবচেয়ে বিপজ্জনক বলা যেতে পারে। এমনটা বলা হয় যে ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসে পূর্ণ ঠাণ্ডা বাতাসের কারণে হাঁপানি প্রায়ই বেড়ে যায়। হাঁপানিতে আক্রান্তদের মধ্যে, শীতকালে ঠাণ্ডার কারণে অ্যাজমা আক্রান্তদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এতে সংকীর্ণ শ্বাসনালী আরও সংকীর্ণ হয়ে যায়। হাঁপানি রোগীদের শ্বাস নিতেও রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়।
আরও পড়ুন: পুজো মিটতেই এবার বড় পরিকল্পনা তৃণমূলের, সব নজর ১ তারিখের দিকে!
অনেকে হাঁপানি প্রতিরোধে ‘প্রিভেনটর’ নামক ইনহেলার এবং হাঁপানি বন্ধ করার জন্য ‘রিলিভার’ নামক ইনহেলার ব্যবহার করেন। কিন্তু কেউ কেউ মনে করেন এইসব ইনহেলারের অতিরিক্ত ব্যবহার ফুসফুসের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন এগুলি সম্পূর্ণ নিরাপদ। অনেকে নেবুলাইজারের মতো ইনহেলেশন থেরাপিও প্রাথমিক অ্যাজমা প্রতিরোধের জন্য ব্যবহার করে থাকেন।
একই ভাবে, শীতকালে গরম জলের পরিবর্তে উষ্ণ জল পান করা এবং কানে যাতে বাতাস না লাগে তার জন্য ক্যাপ পরার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। তাঁরা আরও বলেন যে, হাঁপানিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সকাল ৭টার আগে এবং সন্ধ্যা ৬টার পরে বাইরে যাওয়া উচিত নয়।