তবে ঠোঁটের রং-এর জন্য বিশেষ প্রসাধনী রয়েছে যাকে লিপস্টিক বলে৷ বিভিন্ন রঙের লিপস্টিক বাজারে রয়েছে৷ তবে এসব প্রসাধনীতে কেমিক্যাল থাকার ফলে, ত্বকের ক্ষতি হতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের৷
শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রতঙ্গের মতো ঠোঁটের নির্দিষ্ট কিছু ব্যবহার রয়েছে৷ ঠোঁটের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে রয়েছে চুমু! তবে শুধু চুম্বনই নয়, মানুষের অভিব্যক্তি বা এক্সপ্রেশন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ফুটে ওঠে ঠোঁটের মাধ্যমে৷ যেমন কথায় বলে ঠোঁট ফোলানে৷ এটি রাগের বর্হিপ্রকাশ৷ হাসি, রাগ, ঘৃণা, ভালোবাসা, আদর—সব ওই ঠোঁটেই বোঝা যায়। এছাড়া ঠোঁটের কোণে হাসি, ঠোঁট উল্টানো, ঠোঁট বেঁকিয়ে কথা, এমন অসংখ্য ভাব প্রকাশের ধরন বোঝানো হয়৷ কখনও হাসি তো কখনও কান্না, সবের ভাব ধরা পড়ে ঠোঁটের মধ্যে দিয়ে৷
advertisement
এবার আসা যাক ঠোঁটের রঙের প্রসঙ্গে৷ দেহের অন্যান্য অঙ্গের থেকে ঠোঁটের রং একটু বেশিই লাল হয়৷ তার কারণ কী? এর পিছনে রয়েছে বিজ্ঞানের ব্যাখ্যা৷ ঠোঁটের চামড়া খুবই পাতলা৷ এই নরম পাতলা চামড়ার নীচে রয়েছে অসংখ্য সরু ব্লাড ভেসেল বা রক্তনালী৷ ঠোঁটে কম পরিমাণ মেলানোসাইটিস থাকে৷ মেলানোসাইটিস কোষে তৈরি হয় মেলানিন যা আমাদের ত্বকের রং নির্ধারণ করে৷ কম মেলানোসাইটিস থাকার ফলে এবং চামড়া পাতলা হওয়ার ফলে বেশি সংখ্যক রক্তনালী থাকার ফলে ঠোঁটের রং লাল হয়৷