নারকেল তেলের জাদু
বাঙালি হেঁশেলে এই টোটকা সেরকম প্রচলিত নাও হতে পারে৷ কিন্তু শ্রীলঙ্কার একদল বিজ্ঞানীর গবেষণায় উঠে এসেছে চমকপ্রদ তথ্য৷ ভাত ফোটার সময় তাঁরা কয়েক ফোঁটা নারকেল তেল দেওয়ার কথা বলছেন৷ দাবি, তার ফলে ভাতে শর্করার পরিমাণ কমবে৷
ভাতের জন্য জল ফুটতে দিন৷ প্রতি অর্ধেক কাপ চালের জন্য এক চামচ নারকেল তেল দিন জলে৷ ভাল করে জলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন তেল৷ এ বার ফুটন্ত জলে চাল দিন৷ গ্যাসের আঁচ কমিয়ে সিমে করে রাখুন৷ প্রায় ৪০ মিনিট রাখুন ভাত সম্পূ্র্ণ রাঁধার জন্য৷ একবার রাঁধা হয়ে গেলে ১২ ঘণ্টার জন্য ফ্রিজে রেখে দিন ওই ভাত৷
advertisement
এই জটিলতার জন্য বলা হয় আগের দিন এভাবে ভাত রেঁধে পরের দিন খেতে৷ এই টোটকা মেনে চলার জন্য ভাত থেকে শরীর যতটা ক্যালোরি গ্রহণ করতে পারবে, তার পরিমাণ কমে যায়৷
খুদের ভাত
সাদা চালের বদলে খান খুদের ভাত৷ ভিজিয়ে রেখে, ভাপে রেখে এবং শেষে রোদে শুকিয়ে খুদের চাল তৈরি করা হয়৷ এতে খাদ্যগুণ বাড়ে৷ যাঁরা ওজন কমাতে চাইছেন, তাঁদের ডায়েটে রাখতেই পারেন খুদের ভাত৷
আরও পড়ুন : শীতে সর্দিকাশি সারতেই চায় না? দিনের শুরুতে গুড়ের সঙ্গে খান রান্নাঘরের এই মশলা! আরাম পাবেনই
এই পদ্ধতিতে তৈরি ভাত খেলে পরিপাক ক্রিয়ার সুস্বাস্থ্য বজায় থাকে৷ ইনসুলিন সেন্সিটিভিটি বেড়ে যায়৷ তাই গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম থাকা এই ভাত মধুমেহ রোগীদের জন্যেও উপকারী৷ আয়রন ও ক্যালসিয়াম বেশি থাকে বলে হাড় ও চুলের সুস্বাস্থ্য বজায় থাকে৷ এই ভাতের ভিটামিন বি হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করে৷
বেশি জলে ভাত রাঁধুন
রাঁধার আগে চাল ভিজিয়ে রাখুন৷ ঠান্ডা জলে ভাল করে ধুয়ে নিন৷ একটি পাত্রে বেশি করে ফুটন্ত জল নিন৷ ১ কাপ চালের জন্য অন্তত ১০ কাপ জল দিন৷ ১৫ মিনিট পাত্রের মুখ খোলা রেখে ফোটান৷ এ বার পরীক্ষা করে দেখুন আপনি যেরকম খান, সেরকম নরম ভাত হয়েছে কি না৷ তার পর ভাল করে ফ্যান গেলে নিন৷ তাতে বাড়তি স্টার্চ বেরিয়ে যাবে৷
এই টোটকায় ভাত যে শুধু ফুলো ফুলো এবং নরমই হবে, তা নয়৷ শর্করার পরিমাণ কম থাকায় ক্যালরির পরিমাণ কমানোর জন্যেও আদর্শ৷ এই পদ্ধতির যে কোনও একটিতে ভাত রাঁধুন৷ মোটা হওয়ার ভয় ঝেড়েই মনের সুখে ভাত খেতে পারবেন৷ শরীরে মেদ জমার ভয়ে নষ্ট হবে না ভাতঘুম৷