ফলে জনৈক পাঠক যখন জানতে চাইলেন যে সতীচ্ছদ ভাঙার কোনও সুষ্ঠু নিয়ম আছে কি না, প্রাথমিক ভাবে বেশ বিরক্তই হলেন বিশেষজ্ঞা পল্লবী বার্নওয়াল। তিনি এই প্রসঙ্গে সমাজে প্রচলিত মনোভাবের তীব্র নিন্দাও করলেন। একই সঙ্গে যুবকটিকে সাহায্যও করলেন তাঁর ভুল ধারণা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য!
এই বিষয়ে সবার প্রথমে পল্লবী সতীচ্ছদ কী, সেই ব্যাপারটা ব্যাখ্যা করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছেন। তিনি বলেছেন যে সতীচ্ছদ যোনিদেশের সম্মুখভাগে থাকা কোনও স্বচ্ছ পর্দা নয়। এটি আদতে মিউকোসল টিস্যু। যা যোনিদেশের সামনে কিছুটা আবরণ তৈরি করে ঠিকই, তবে এটি প্রকৃত পক্ষে যোনিদেশের অনেকটা গভীর পর্যন্ত বিস্তৃত। নানা রকম শারীরিক প্রক্রিয়া, যেমন- সাইকেল চালানো, সিঁড়ি ভাঙা, দৌড়ানো বা ওয়ার্ক আউটের সময়ে এটি ছিঁড়ে যেতে পারে। এটি যে শুধুই সঙ্গমের সময়ে ছিঁড়ে যায়, তা নয়। আবার এমন অনেক নারীও আছেন, যাঁদের জন্ম থেকেই যোনির সম্মুখ ভাগে এই টিস্যুর উপস্থিতি দেখা যায় না।
advertisement
তাই পল্লবী বিষয়টিকে উপস্থাপনা করেছেন প্রথমবার সঙ্গমের সময়ের যন্ত্রণার সঙ্গে। তিনি বলেছেন যে যদি এই ব্যথা পাওয়ার বিষয়টা নিয়ে দুশ্চিন্তা থাকে, তাহলে লুব্রিকেটর ব্যবহার করা যেতে পারে। লুব্রিকেটরে অ্যালার্জি থাকলে কোনও ভাইব্রেটর ব্যবহার করে বিষয়টি সহনীয় করে তোলা যায়। একই সঙ্গে এই ব্যাপারে পুরুষদের যে আগ্রাসী হওয়া উচিৎ নয়, সঙ্গমের সময়ে বেশি করে ফোরপ্লের আশ্রয় নেওয়া প্রয়োজন, সেটাও ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। বলেছেন, বিশেষ করে শরীরে প্রবেশের সময়ে ধীর গতি অবলম্বন করলে যন্ত্রণা কম হতে পারে।
Pallavi Barnwal