TRENDING:

কুমারীত্বের অবসান ব্যাপারটা আদতে কী? আলোকপাত করলেন বিশেষজ্ঞ

Last Updated:

জনৈক পাঠক যখন জানতে চাইলেন যে সতীচ্ছদ ভাঙার কোনও সুষ্ঠু নিয়ম আছে কি না, প্রাথমিক ভাবে বেশ বিরক্তই হলেন বিশেষজ্ঞা পল্লবী বার্নওয়াল

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
নারীর কৌমার্য, সন্দেহ নেই, আমাদের সমাজে এখনও পর্যন্ত একটি আলোচনার বিষয়। ধরেই নেওয়া হয় যে এর সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িয়ে আছে নারীর সতীত্ব বা চারিত্রিক শুদ্ধতার বিষয়টি। অনেকেরই এই ব্যাপারে ধারণা থাকে যে নারীর যৌনাঙ্গের মুখে একটা পাতলা স্বচ্ছ পর্দা থাকে, যাকে বলা হয় Hymen বা সতীচ্ছদ। প্রথমবার শারীরিক মিলনের সময়ে এই সতীচ্ছদটি ছিঁড়ে যায় এবং পরিণামে কিছুটা রক্তপাত হয়। এই জন্য অনেকে স্ত্রী সতী কি না বা তাঁর সঙ্গেই প্রথমবার শারীরিক মিলনে রত হলেন কি না, তা পরীক্ষা করার জন্য বাসরঘরের বিছানায় সাদা চাদর পেতে রাখেন। যাতে রক্তের দাগটি সহজেই চোখে পড়ে!
advertisement

ফলে জনৈক পাঠক যখন জানতে চাইলেন যে সতীচ্ছদ ভাঙার কোনও সুষ্ঠু নিয়ম আছে কি না, প্রাথমিক ভাবে বেশ বিরক্তই হলেন বিশেষজ্ঞা পল্লবী বার্নওয়াল। তিনি এই প্রসঙ্গে সমাজে প্রচলিত মনোভাবের তীব্র নিন্দাও করলেন। একই সঙ্গে যুবকটিকে সাহায্যও করলেন তাঁর ভুল ধারণা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য!

এই বিষয়ে সবার প্রথমে পল্লবী সতীচ্ছদ কী, সেই ব্যাপারটা ব্যাখ্যা করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছেন। তিনি বলেছেন যে সতীচ্ছদ যোনিদেশের সম্মুখভাগে থাকা কোনও স্বচ্ছ পর্দা নয়। এটি আদতে মিউকোসল টিস্যু। যা যোনিদেশের সামনে কিছুটা আবরণ তৈরি করে ঠিকই, তবে এটি প্রকৃত পক্ষে যোনিদেশের অনেকটা গভীর পর্যন্ত বিস্তৃত। নানা রকম শারীরিক প্রক্রিয়া, যেমন- সাইকেল চালানো, সিঁড়ি ভাঙা, দৌড়ানো বা ওয়ার্ক আউটের সময়ে এটি ছিঁড়ে যেতে পারে। এটি যে শুধুই সঙ্গমের সময়ে ছিঁড়ে যায়, তা নয়। আবার এমন অনেক নারীও আছেন, যাঁদের জন্ম থেকেই যোনির সম্মুখ ভাগে এই টিস্যুর উপস্থিতি দেখা যায় না।

advertisement

তাই পল্লবী বিষয়টিকে উপস্থাপনা করেছেন প্রথমবার সঙ্গমের সময়ের যন্ত্রণার সঙ্গে। তিনি বলেছেন যে যদি এই ব্যথা পাওয়ার বিষয়টা নিয়ে দুশ্চিন্তা থাকে, তাহলে লুব্রিকেটর ব্যবহার করা যেতে পারে। লুব্রিকেটরে অ্যালার্জি থাকলে কোনও ভাইব্রেটর ব্যবহার করে বিষয়টি সহনীয় করে তোলা যায়। একই সঙ্গে এই ব্যাপারে পুরুষদের যে আগ্রাসী হওয়া উচিৎ নয়, সঙ্গমের সময়ে বেশি করে ফোরপ্লের আশ্রয় নেওয়া প্রয়োজন, সেটাও ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। বলেছেন, বিশেষ করে শরীরে প্রবেশের সময়ে ধীর গতি অবলম্বন করলে যন্ত্রণা কম হতে পারে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
কালীপুজো বাজারে এবার নতুন চাপ! ফুল কিনতে গিয়ে নাকানিচোবানি না খেতে হয়
আরও দেখুন

Pallavi Barnwal

বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
কুমারীত্বের অবসান ব্যাপারটা আদতে কী? আলোকপাত করলেন বিশেষজ্ঞ
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল