তাহলে সেক্সটিং কি? ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সেক্স নিয়ে কোনও কিছু একে অপরের মধ্যে দেওয়া বা নেওয়া হলেই তাকে সেক্সটিং বলা যায়। সেক্স নিয়ে কথা বলা ! বা নিজেদের অর্ধনগ্ন ছবি বা নগ্ন ছবি শেয়ারকেও সেক্সটিংয়ের আওতায় ফেলা যেতে পারে। এতে কি সুবিধা হতে পারে ! এতে অনেকেই অনেকের সঙ্গে সহজে নিজেদের মনের কথা আদান প্রদান করতে পারে। তবে এই ডিজিটাল কথা বলতে বলতে যদি তা শারীরিক সর্ম্পকে যায় তাহলে কিন্তু অনেকগুলি রিস্কফ্যাক্টর থাকতে পারে। যেমন প্রেগন্যান্সি আসতে পারে। বা ঠকবাজির কেসে পড়তে হতে পারে। তবে তার মধ্যেও এই সেক্সটিংয়ে আছে অনেক সুবিধা। যেমন নিশান্ত (নাম পরিবর্তীত) ও তার প্রেমিকা থাকে মাইসোরে। কিন্তু তারা খুব কমই কোনও রুমে যেতে পারে একসঙ্গে সময় কাটানোর জন্য। তারা যেখানে থাকতো সেখানে সবাই সবাইকে চেনে। এখানে বিয়ে না হলে একসঙ্গে থাকায় মানা। মাঝে মধ্যে তারা যেতে পারে বাইরে। কিন্তু সেটা খুব খরচসাপেক্ষ। তাই নিজেদের ঘরে বসে ফোনে একে অপরের সঙ্গে সেক্সটিং করে অনেক বেশি মজা সহজেই পাওয়া যায় ।
advertisement
তবে সেক্সটিংয়ের ডার্ক সাইডও আছে। কারও সঙ্গে সেক্সটিং করার আগে ভাবতে হবে। ভিডিও বা ন্যুড ফটো পাঠানোর আগে ভাবুন। কারণ ভারতে এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে যেখানে সম্পর্ক খারাপ হয়ে গেলে এই গোপন মুহূর্তের ছবি ভাইরাল করা হতে পারে। ব্ল্যাকমেল করা হতে পারে। ভিডিও পর্ন সাইটে গোপন ভিডিও ছাড়া হতে পারে। তাই অনেক বিপদও আছে কিন্তু। যেমন অনিশা তার বয়ফ্রেন্ডকে ন্যুড ছবি পাঠিয়ে তো দিয়েছে। কিন্তু পাঠানোর আগে সে খেয়াল রেখেছে তার মুখ যেন ছবিতে কোনও ভাবে না আসে। কারণ যদি ফোনটা চুরি হয়ে যায়, তাহলেও তার ছবি ছড়িয়ে পড়তে পারে। স্ন্যাপচ্যাটে ছবি পাঠান। এটা অনেক সেফ।
কতগুলি সতর্কতা: অচেনা মানুষদের সঙ্গে সেক্সটিং করবেন না। যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। নিজে না চাইলে সেক্স নিয়ে কথা বলবেন না। প্রয়োজনে কেউ বিরক্ত করলে সম্পর্ক নষ্ট করাই ভাল। ছবি পাঠানোর সময় বা ভিডিও পাঠানোর সময় মাথায় রাখতে হবে মুখ যেন না দেখা যায়। মদ খেয়ে কারও সঙ্গে সেক্সটিং করবেন না। আর যতক্ষণ বিষয়টা নিজে এনজয় করছেন ততক্ষণই করুন। তারপরেও বালা যেতে পারে এভাবে নিজের জীবনকে এনজয় করাই যেতে পারে। টেক্সটিং বা সেক্সটিং দোষের কিছু না।