পিওআই-এর উপসর্গ কী কী?
এর প্রথম উপসর্গ হল – অনিয়মিত পিরিয়ডস অথবা পিরিয়ডস না হওয়া। আর পরের উপসর্গগুলি কিন্তু স্বাভাবিক মেনোপজের মতোই হতে পারে:
১. হট ফ্ল্যাশেস
২. রাতে ঘাম
৩. অস্বস্তি বা বিরক্তি
৪. মনঃসংযোগে সমস্যা
৫. যৌন চাহিদা কমে যাওয়া
৬. যৌন মিলনের সময় যন্ত্রণা
৭. ভ্যাজাইনাল ড্রাইনেস
advertisement
Dr Sebanti Goswami
পিওআই থাকা বহু মহিলাই কিন্তু গর্ভবতী হতে পারেন না। অথবা বন্ধ্যাত্বের কারণেই তাঁরা চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন।
বন্ধ্যাত্ব ছাড়াও দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ঝুঁকি:
পিওআই-এর কারণে নির্দিষ্ট কিছু হরমোনের মাত্রা কমে যায়। যার জেরে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ঝুঁকি বাড়ে। তার মধ্যে অন্যতম হল:
উত্তেজনা এবং ডিপ্রেশন:
পিওআই-এর জেরে হওয়া হরমোনজনিত পরিবর্তনের কারণে উত্তেজনা অথবা মানসিক বিষণ্ণতা তৈরি হতে পারে।
ড্রাই আই সিন্ড্রোম এবং আই সারফেস ডিজিজ:
পিওআই থাকা কিছু মহিলার চোখের এমন কোনও রোগ হতে পারে। যা সব মিলিয়ে অস্বস্তি তৈরি করে আর দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যায়। সময়ে চিকিৎসা না হলে কিন্তু চোখ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
হার্টের রোগ:
ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কম হলে আর্টারি বা রক্তবাহী ধমনীর প্রাচীরে থাকা পেশিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। যার ফলে ধমনীতে কোলেস্টেরল জমে। যা অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিসের ঝুঁকি বাড়ায়।
বন্ধ্যাত্ব:
এর জেরে বন্ধ্যাত্বও একটি সাধারণ সমস্যা।
থাইরয়েডের কার্যকারিতা হ্রাস:
একে হাইপোথাইরয়েডিজম বলে। থাইরয়েড গ্রন্থির এমন হরমোন উৎপাদন করে, যা দেহের মেটাবলিজম ও এনার্জির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। হাইপোথাইরয়েডিজম মেটাবলিজমকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এনার্জি কম থাকে আর অন্যান্য উপসর্গও প্রকাশ পায়।
অস্টিওপোরোসিস:
ইস্ট্রোজেন হরমোন হাড় মজবুত করে। পর্যাপ্ত ইস্ট্রোজেন ছাড়া পিওআই থাকা মহিলাদের অস্টিওপোরোসিস হতে পারে। এটা হাড়ের রোগ। হাড় দুর্বল এবং ভঙ্গুর হয়ে যায়।
পিওআই-এ হরমোন থেরাপি:
হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি (এইচআরটি):
১. এইচআরটি হল সাধারণ চিকিৎসা। এটি ইস্ট্রোজেন প্রদান করে আর ডিম্বাশয় যে হরমোন তৈরি করতে পারে না, সেটা সরবরাহ করে। এইচটি যৌন স্বাস্থ্যের উন্নতি করে এবং হার্টের রোগ ও অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কমায়। সাধারণত মেনোপজ যখন শুরু হয়, অর্থাৎ ৫০ বছর বয়স পর্যন্ত এটি নেওয়া যেতে পারে।
২. এই ধরনের পরিস্থিতিতে সর্বদা যেমন – একজন মহিলার জীবনযাত্রার মানের উপর অস্বস্তিকর লক্ষণগুলির চিকিৎসার সুবিধাগুলি এমএইচটি-র সঙ্গে সম্পর্কিত সম্ভাব্য ঝুঁকির সঙ্গে তুলনা করা উচিত। গ্রহণযোগ্য ঝুঁকি-র সংজ্ঞা এইচসিপি এবং রোগীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভাবে পরিবর্তিত হতে পারে।
৩. হরমোন রিসেপ্টর-পজিটিভ স্তন ক্যান্সার এবং এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সারে আক্রান্ত মহিলাদের ক্ষেত্রে এমএইচটি সাধারণত নিষিদ্ধ।
৪. যাঁদের ভিটিই-র অতীত ইতিহাস রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে এমএইচটি বিবেচনা করা যেতে পারে।