যদিও উইল স্মিথ চড় মারার জন্য প্রকাশ্যেই ক্রিস রকের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন পরে। উইলের স্ত্রী জাদা পিঙ্কেট স্মিথ (Jada Pinkett Smith) ভুগছেন অ্যালোপেসিয়া অ্যারেটা (alopecia areata) নামক একটি রোগে যাতে চুলের তীব্র ক্ষতি হয়। মাথায় কোথাও কোথাও খাবলা হয়ে উঠে যায় চুল, অনেকসময় আবার সম্পূর্ণ টাকও পড়ে যায়। এটি বস্তুত একটি অটোমিমিউন অবস্থা (alopecia areata)। অ্যালোপেসিয়া অ্যারেটায় (alopecia areata) শরীরের শ্বেত রক্তকণিকা চুলের ফলিকলের কোষগুলিকে আক্রমণ করতে শুরু করে, যাতে চুলের উৎপাদন কমে আসে। জাদা (Hair Loss Problem of Jada Pinkett Smith) তাঁর এই চুল পড়ার সমস্যা নিয়ে ২০১৮ সালে প্রথম কথা বলেছিলেন।
advertisement
আরও পড়ুন- অস্কারের মঞ্চে সঞ্চালককে কি থাপ্পড় মারা যায়? কী জানালেন বিগ বস সঞ্চালক সলমান খান
অ্যালোপেসিয়া অ্যারেটা কী?
Alopecia areata হল এমন একটি রোগ যেখানে চুলের তীব্র ক্ষতি হয়। মাথার স্ক্যল্প থেকে উঠে যায় চুল। এর ফলে টাক পড়ে যায়। আমাদের শরীরের নিজস্ব ইমিউন সিস্টেমই চুলের ফলিকলগুলিতে আক্রমণ করে যার ফলে চুল পড়ে যায়। এটি জেনেটিক হতে পারে এবং যে কোনও বয়সে ঘটতে পারে। এই রোগের চিকিত্সায় স্টেরয়েড এবং অন্যান্য ইমিউনোসপ্রেসেন্টস ব্যবহার করা হয়।
অ্যালোপেসিয়া অ্যারেটার কারণ
যদিও এই রোগের কারণ ঠিক কী হতে পারে তা স্পষ্ট না হলেও, গবেষণা বলছে অ্যালোপেসিয়া অ্যারেটা (alopecia areata) আক্রান্ত পাঁচজনের মধ্যে একজনের এই রোগের পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে। স্ট্রেস এবং অ্যালকোহল সেবনে বাড়তে পারে এই রোগ।
অ্যালোপেসিয়া অ্যারেটার লক্ষণ
* খাবলা হয়ে চুল উঠে যাওয়া
* মাথায় কয়েনের সাইজের প্যাচ হয়ে চুল উঠে যাওয়া
* দাড়ি এবং চোখের পাতার চুলের বৃদ্ধি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে
* কয়েকদিন বা এক সপ্তাহের মধ্যে হঠাৎ চুল পড়া
* চুল পড়ার আগে চুলকানি বা জ্বালা ভাব
* নখের ঔজ্জ্বল্য হারানো, নখ পাতলা ও রুক্ষ হয়ে যেতে পারে
আরও পড়ুন- কংগ্রেস আমলে সন্ত্রাসে জেরবার কাশ্মীরকে জানতে দেখা উচিত কাশ্মীর ফাইলস: অমিত শাহ
অ্যালোপেসিয়া অ্যারেটা (alopecia areata) ছাড়াও আরও চার ধরনের সাধারণ অ্যালোপেসিয়া রয়েছে:
অ্যান্ড্রোজেনিক অ্যালোপেসিয়া: মহিলাদের চুল পাতলা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, পুরুষদের আংশিক বা সম্পূর্ণ টাক পড়তে পারে।
অ্যালোপেসিয়া টোটালিস: এই ধরণের অ্যালোপেসিয়ায় মাথার ত্বকের সমস্ত চুল পড়ে যায়।
ট্র্যাকশন অ্যালোপেসিয়া: এই ধরনের অ্যালোপেসিয়া হতে পারে নিয়মিত টাইট পনিটেল, খোঁপা, বিনুনি ইত্যাদির মাধ্যমে চুলের স্টাইল করলে।
সিকাট্রিসিয়াল অ্যালোপেসিয়া: এতে চুলের ফলিকলগুলি প্রদাহের ফলে ধ্বংস হয়ে যায়। চুলকানি, ব্যথা এবং তাপ অনুভূত হতে পারে চুল পড়ার স্থানে।
চিকিৎসা
মিনোক্সিডিল: এটি সবচেয়ে সাধারণ এবং জনপ্রিয় ওষুধ যা চুল পড়া, টাক পড়া রোধের ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে।
লেজার থেরাপি: পুরুষ ও মহিলা দু’জনেরই বংশগত কারণে চুল পড়ার সমাধান এবং চুলের ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করতে পারে এই থেরাপি।
হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট: দুই ধরনের হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট রয়েছে, ফলিকুলার ইউনিট ট্রান্সপ্লান্টেশন (FUT), যাকে স্ট্রিপ টেকনিকও বলা হয়। আরেকটি হল ফলিকুলার ইউনিট এক্সট্রাকশন (FUE)।
প্লেটলেট-সমৃদ্ধ প্লাজমা থেরাপি (পিআরপি): এই পদ্ধতিতে আক্রান্ত স্থানে নিজের রক্ত ইনজেকশনের মাধ্যমে দেওয়া হয়।