এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে শেফিল্ড এবং ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক অধ্যাপক দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন। আর দীর্ঘ গবেষণার পর শেষমেশ বিজ্ঞানীরা এর সঠিক উত্তর খুঁজে পেয়েছেন।
গবেষণা করেছেন Bristol University-র গবেষকেরা। তাঁরাও দিয়েছেন উত্তর। তাঁরা জানিয়েছেন, মোড়গ-মুরগি প্রথম থেকে এমন ছিল না। তারা মানুষের মতোই বাচ্চার জন্ম দিত। ডিম দিত ডাইনোসরেরা। সুতরাং এতে প্রমাণ হয় যে মুরগি আগে থেকেই ছিল।
advertisement
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ডিমের খোসায় ওভোক্লিডিন নামে একটি প্রোটিন পাওয়া যায়। এটিই ডিমের খোসা তৈরির প্রধান উপাদান। আর এই প্রোটিন তৈরি হয় শুধুমাত্র মুরগির জরায়ুতে। তাই যতক্ষণ না মুরগির জরায়ু থেকে মেলা এই প্রোটিন ডিম তৈরিতে ব্যবহার না করা হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত ডিম তৈরি হবে না।
বিজ্ঞানীদের দাবি, ওই ডিম ফুটে যে বাচ্চা বেরিয়েছিল সেই নতুন প্রজাতির পাখিই আজকের আদি মুরগি। এরপর কয়েক হাজার বছর ধরে পৃথিবীতে পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে মুরগির শরীরে বহু পরিবর্তন হয়েছে। সেই মুরগির সঙ্গে এখনকার মুরগির যদিও পার্থক্য অনেক।