স্ন্যাক্স:
আমাদের বেশিরভাগেরই মাঝরাতে বা দিনে কিছু খাওয়ার তাগিদ থাকে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে জলখাবার জন্য সর্বোত্তম সময় সকাল ৯.৩০ বা সকাল ১১টা।এই সময় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, প্রোটিন এবং কম কার্বোহাইড্রেটযুক্ত স্ন্যাক্স খাওয়া উচিত যা সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করবে এবং ওজন বৃদ্ধি করবে না। তবে খাবারের মধ্যে দীর্ঘ বিরতি থাকলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা দেখা দিতে পারে।
advertisement
আরও পড়ুন: ঠান্ডা না গরম জল? কোন স্নানে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কম জানুন
খাবার বাদ দিলে চলবে না:
খাবার এড়িয়ে যাওয়া মানে কম খাওয়া নয় বরং দুর্বল মেটাবলিজম তৈরি করা এবং অতিরিক্ত খাওয়ার বাসনা তৈরি হওয়া। প্রাতঃরাশ বাদ দিলে অন্যান্য খাবারের সময় অতিরিক্ত খাওয়া হয় এবং বিপাক প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায়। লাঞ্চ এবং ডিনার এড়িয়ে গেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। ওসাকা ইউনিভার্সিটিতে করা গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে পুরুষ এবং মহিলারা রাতের খাবার বাদ দিয়েছিলেন তাঁরা অতিরিক্ত মাত্রায় মদ্যপান ও ধূমপানে আসক্ত হয়ে গিয়েছেন।
আরও পড়ুন: আলু খেয়েও কমবে ওজন! শুধু মাথায় রাখতে হবে এই কয়েকটি টিপস
ক্যালোরির অভাব:
ওজন কমানোর প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম হল ক্যালোরি বার্ন বজায় রাখা। যদি যা খাওয়া হচ্ছে তার চেয়ে ক্যালোরি বার্ন কম হয় তাহলে সেই খাবারটি শরীরে চর্বি হিসাবে জমা হয় এবং শক্তির উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার পরিবর্তে এটি শরীরের ওজন বাড়ায়। অত্যধিক খাওয়া তাই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং ব্যায়াম করা বাধ্যতামূলক করতে হবে।
সময়সীমা:
যেখানে সবকিছু ঘড়ির কাঁটা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় সেখানে একটি কঠোর রুটিন মেনে চলা কষ্টকর। তবে মনে রাখতে হবে যে ঘুম থেকে ওঠার এক ঘণ্টার মধ্যে সকালের জলখাবার খাওয়া স্বাস্থ্যকর এবং অনেক বেশি প্রয়োজন। দুপুরের খাবার খুব দেরি করে খাওয়া উচিত নয় এবং বেশিরভাগই দুপুর ১.৩০ থেকে ২টোর মধ্যে হওয়া উচিত। সন্ধ্যা ৬টার দিকে ডিনার করা আদর্শ সময় তবে আধা ঘন্টা দেরি বা আগে হলেও অসুবিধা নেই। ভালো স্বাস্থ্য পেতে গেলে এবং ফিটনেস নিশ্চিত করার জন্য খাবারের সময় নির্ধারণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।