১. অসম্ভব কোনও লক্ষ্যমাত্রা নয়
ওজন কম করার রুটিন এমনভাবে করতে হবে যা পূর্ণ করা যায়। শরীর খারাপ করে বা নিজের অন্য কাজকর্ম বন্ধ রেখে কোনও কিছু করলে হবে না।
২. কার্বোহাইড্রেট আর চিনি এড়িয়ে চলা
পাস্তা, নুডল এসব না খেয়ে বাদাম,ব্রাউন ব্রেড ইত্যাদি খেতে হবে। রিফাইন কার্বোহাইড্রেটে কোনও ফাইবার থাকে না।
advertisement
৩. সবুজ পাতাওয়ালা সবজি
যতটা সম্ভব সবুজ পাতাওয়ালা শাকসবজি যেমন পার্সলে, কারিপাতা, ওরিগানো, রোজমেরি, পালংশাক এগুলো খেতে হবে। এগুলো মেটাবলিক রেট বাড়িয়ে ওজন কম করে।
৪. বেশি করে প্রোটিন
ওজন কম করতে চাইলে বেশি করে প্রোটিন খেতে হবে। ডায়েটে রাখতে হবে মাংস, ডিম, দুগ্ধজাত প্রোডাক্ট, ডাল ইত্যাদি। হাই প্রোটিন ডায়েট বেশ অনেকক্ষণ পেট ভর্তি রাখে, ফলে অন্য কিছু খেতে ইচ্ছে করে না।
৫. প্রচুর জলপান
বেশি করে জল পান করতে হবে যাতে শরীর ভিতর থেকে আর্দ্র থাকে। খাওয়ার ১৫ মিনিট আগে দুই গ্লাস জল পান করলে আরও ভাল হয়।
আরও পড়ুন-রাশিফল ৩০ জুন; দেখে নিন কেমন যাবে আজকের দিন
৬. বসে থাকলে চলবে না
প্রতিদিন কিছুটা করে ক্যালোরি কম করতে হাঁটতে হবে। বেশিক্ষণ বসে থাকা চলবে না। সিঁড়ি ভাঙতে হবে এবং ঘরের কাজ করতে হবে।
৭. স্ক্রিন টাইম কম করতে হবে
মোবাইল, ল্যাপটপ বা টিভির স্ক্রিনে বেশি সময় না দিয়ে বাইরে একটু হেঁটে এলে অনেক ভালো হবে। বাইরে বেরিয়ে হাঁটতে না পারলে বাড়িতেই হালকা কিছু এক্সারসাইজ করতে হবে।
৮. পর্যাপ্ত ঘুম
প্রতিদিন ন্যূনতম সাত ঘণ্টা ঘুম দরকার। গবেষণা বলে যে ঘুমের অভাবে হরমোনের সমস্যা দেখা দেয়, তাই ওজন বেড়ে যায়।
৯. কারডিও ট্রেনিং
দিনে অন্তত ২০ মিনিট কারডিও ট্রেনিং করলে ওজন কমবে। এ ছাড়া জিমে গিয়েও এক্সারসাইজ করা যেতে পারে।
১০. খাওয়া নিয়ে সচেতন
প্যাকেটজাত খাদ্য ডায়েট থেকে বাদ দিয়ে প্রাকৃতিক খাবার খেতে হবে। ধীরে ধীরে চিবিয়ে খাবার খেতে হবে, এতে তাড়াতাড়ি হজম হবে।
১১. স্ট্রেস নয়
যদি স্ট্রেস বাড়ে তাহলে ডায়েট ও ঘুম দুটোই বিঘ্নিত হবে। ফলে ওজন বাড়বেই। তাই স্ট্রেস কম করতে হবে।
১২. ছোট থালায় খাওয়া
খাবারের থালা ছোট নিতে হবে, যাতে তাতে কম খাবার ধরে। এতে বাড়তি খাবার খাওয়ার অভ্যেসও কম হবে।
১৩. মাঝে মাঝে উপোস
মাঝে মাঝে উপোস করলে মেটাবলিক রেট বাড়ে ও ওজন কম হয়।
১৪. খাবারের হিসেব
কতটা খাওয়া হচ্ছে এবং কী খাওয়া হচ্ছে তার একটা হিসেব রেখে জার্নাল তৈরি করতে হবে। তাতে হিসেব থাকবে যে প্রতিদিন ঠিক কতটা ক্যালোরি শরীরে যাচ্ছে।