সকালের রুটিন: ভোরে ঘুম থেকে ওঠাটাই তো সবচেয়ে কষ্টের। তবে এই ডায়েট প্ল্যান মেনে চললে ঘুম থেকেও তাড়াতাড়ি ওঠা যাবে। আসলে এটা এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে পেট সবসময় ভরা থাকে। এজন্য ভোরে উঠেই একটা পানীয় তৈরি করে নিতে হবে। এটা একটু মজার। একটা প্যানে জল নিয়ে ৫টা আমন্ড এবং ২-৩টি খেজুর সেদ্ধ করে নিতে হবে। এবার প্রথমে জলটা খেতে হবে, তারপর আমন্ড এবং খেজুর। এটা সারাদিনের পুষ্টি পূরণ করবে। শুধু তাই নয়, চিনি খাওয়ার ইচ্ছেও কমাবে। কারণ খেজুর প্রাকৃতিক চিনিতে ভরপুর।
advertisement
আরও পড়ুন : দই ছাড়া থাকতেই পারেন না? এই বাদলার মরশুমে 'এইভাবে' খান দই! নইলে কিন্তু বড় বিপদ
প্রাতঃরাশ: সকাল সাড়ে আটটার সময় প্রাতরাশ। পাতে থাকবে ওটস। একটা বাটিতে হাফ কাপ ওটস, ১-২ চামচ গুড় বা মধু, হাফ কাপ দই বা বাদাম দুধ ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর তাতে ১ চা চামচ শিয়া বীজ দিয়ে আরেকবার মেশাতে হবে। এবার সারারাত সেটা রাখতে হবে ফ্রিজে। সকালে জলখাবারের আগে ফ্রিজ থেকে বের করে আম, কলা, বেরি বা আপেলের সঙ্গে এটা খেতে হবে। সকাল সাড়ে এগারোটা-বারোটার দিকে খিদে পেলে একটু নারকেল খাওয়া যায়। এটা পেট ভরা রাখতে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন : দই ছাড়া থাকতেই পারেন না? এই বাদলার মরশুমে 'এইভাবে' খান দই! নইলে কিন্তু বড় বিপদ
মধ্যাহ্নভোজ: দুপুরের খাবার দুপুর ১টা থেকে ২টোর মধ্যে খেতে হবে। নাহলে পুরো ডায়েট প্ল্যানটাই মাটি। দুপুরে পাতে থাকবে যে কোনও ডাল ১ কাপ, ১ বাটি ভাপানো চাল, ১ বাটি রায়তা এবং একবাটি স্যালাড। এটা প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভরা থাকবে।
সন্ধ্যা: সন্ধ্যার জন্য, গুড় বা ব্রাউন সুগার দিয়ে এক কাপ মসলা চা। ১ চামচ ঘিতে সামান্য বাদাম কিংবা মাখানা ভাজা যায়। ব্যস, এটাই সন্ধ্যার জল খাবার।
ডিনার: রাতের খাবারের জন্য, একটি বেরি স্মুদি তৈরি করা যায়। এটা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। আমের স্মুদিও খাওয়া যায়, তবে আম এমন একটি ফল যা ক্যালোরি সমৃদ্ধ তাই এটি এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।
ঘুমোনোর আগে: ঘুমোনোর আগে এক কাপ গ্রিন টি। এটা শরীরকে ডিটক্সিফাই করবে। রাতের ঘুমও ভালো হবে।