ঘরোয়া উপায়ে ওজন কম করলে তাতে খরচ কম হয় এবং এতে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও হয় না। দেখে নেওয়া যাক, কী কী উপায়ে ওজন কম করা যেতে পারে (Weight Loss Tips)।
মধু ও লেবুর জল
রান্নাঘরে সবচেয়ে সহজলভ্য দুটি উপাদান হল লেবু এবং মধু। এক গ্লাস গরম জলে, এক চতুর্থাংশ লেবু এবং এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে রোজ পান করতে হবে। সঠিক ফলাফল পেতে কোনও বিরতি ছাড়াই এটি নিয়মিত গ্রহণ করা উচিত। লেবু এবং মধু পাচনতন্ত্রকে ডিটক্স করতে সাহায্য করে।
advertisement
ছাতু
ডাল গুঁড়ো করে ছাতু তৈরি হয়। ছাতুতে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। এর মধ্যে উপস্থিত ক্যালোরির পরিমাণও কম। তাই এটি খেলে ওজন কমে যেতে পারে। ছাতু বেশ খানিকক্ষণ পেট ভর্তি রাখে এবং এটি অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর।
রায়তা
দুপুরে বা রাত্রে খাবারের সঙ্গে রায়তা খাওয়ার চল আছে আমাদের দেশে। রায়তা তৈরি হয় দই দিয়ে। রায়তা হজম এবং বিপাক ক্রিয়াকে দ্রুত করতে সাহায্য করে। হজম দ্রুত হলে ওজনও কমে যায়।। রায়তায় রয়েছে ভাল ব্যাকটেরিয়া যা অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য অপরিহার্য। রায়তার মধ্যে লাউ, মিষ্টি ছাড়া শুকনো বোঁদে ও শসা মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
আরও পড়ুন-ডিম খেলে কি কোলেস্টেরল বেড়ে যায়? জানেন কি দিনে ক'টা করে ডিম খাওয়া উচিত?
জিরের জল
রান্নাঘরে জিরে থাকে যা রান্নায় ব্যবহার করা হয়। কিন্তু জিরে যে ওজন কমাতেও সাহায্য করে সেটা অনেকেই জানেন না। সারারাত জিরে ভিজিয়ে রেখে সেই জল পান করা অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভাল এবং এই জল ওজন কমাতে সাহায্য করে।
জোয়ান
সকাল বেলা জোয়ান চিবিয়ে খেলে শরীরের বাড়তি চর্বি তাড়াতাড়ি গলে যায়। ফিটনেস বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে এই প্রক্রিয়া বাজারচলতি অনেক ওষুধ বা সাপ্লিমেন্টের চেয়ে অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর ও কার্যকর। যে কোনও মিলের ঠিক ৩০ মিনিট আগে জোয়ান চিবিয়ে খাওয়া যেতে পারে। এক মাস জোয়ান খেলে এক থেকে দুই কেজি ওজন কমে যেতে পারে।